ডিভিসি-র ছাড়া জল এবং অতিবৃষ্টিতে সম্প্রতি আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের দু’টি ব্লক প্লাবিত হলেও কোথাও নদীবাঁধ ভাঙেনি। জল ঢুকেছে বাঁধ উপচে। বন্যাপ্রবণ খানাকুলে এ বারে এই বাঁধ না-ভাঙার নজিরবিহীন দৃষ্টান্তের পিছনে দু’টি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। আর তা হল, বছরভর সেচ দফতরের বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সেখানে ভেটিভার ঘাসের চাষ। যা শক্তপোক্ত করেছে বাঁধকে। আর তাই ভেটিভারের চাষ আরও বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা প্রশাসন। |
সম্প্রতি ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দিবস’ উপলক্ষে মহকুমাশাসকের দফতরে এ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হয়। সেখানে ভেটিভার ঘাসের উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়-সহ অনেকে। ভেটিভার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ওই দিন পদযাত্রাও হয়। মহকুমাশাসক বলেন, “একশো দিনের কাজ প্রকল্পে নদীবাঁধগুলিতে ভেটিভার চাষ করার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে সচেতন এবং উৎসাহী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক পঞ্চায়েত উদ্যোগী হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁধ মেরামতিতে ইউক্যালিপটাস চারা লাগানো বা বোল্ডার ফেলার কাজ সময়সাপেক্ষ। খরচও বেশি। তুলনায় ভেটিভারের চারা লাগালে তা দ্রুত কাজে আসে। খরচও অনেক কম। মহকুমায় এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই উপযোগী প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। তা ছাড়া, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই চারা লাগানো হলে আরও বেশি কর্মদিবস সৃষ্টি করাও সম্ভব। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে। ঘাস থেকে বিভিন্ন হস্তশিল্প হতে পারে বলেও প্রশাসন প্রচার চালাচ্ছে। |