বাঁধ বাঁধার কাজ শেষ, জল নামছে না তমলুকে
প্রায় চার দিন ধরে সেনাবাহিনীর টানা চেষ্টার পর পাঁশকুড়ার রানিহাটিতে কাঁসাই নদীর বাঁধ বাঁধার প্রাথমিক কাজ শেষ হল বুধবার রাত দু’টো নাগাদ। ফলে আপাতত কাঁসাই নদীর প্রবল জলস্রোত ঢোকা বন্ধ হয়েছে। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিত জানান, ওই বাঁধ আরও মজবুত করার জন্য কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। কাঁসাই নদীর জলস্তরও অনেকটাই কমেছে। কিন্তু জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে জল নামছে না কিছুতেই। সেই গত অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথম বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছিল পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় ২০০টি গ্রাম।
কাঁসাইয়ের বাঁধ মেরামতের প্রাথমিক কাজ শেষ হল অবশেষে।
এরপর আরও দু’বার ওই একই জায়গায় বাঁধ ভাঙায় প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে জলবন্দি গ্রামগুলি। জমা জলে মাটির বাড়ি ধসেছে একের পর এক। ধান, পান, ফুল, সব্জি ও মাছ চাষের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। দুর্গতরা অধিকাংশই বাড়িঘর ছেড়ে গৃহপালিত পশুদের নিয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবির বা উঁচু বাঁধে ত্রিপলের ছাউনি করে আশ্রয় নিয়েছে। বুধবার রাতেও তমলুক ব্লকের কিছু এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এদিন সকালে তমলুক বিডিও অফিসের কাছে বন্যাদুর্গতদের একাংশ তমলুক-পাঁশকুড়া সড়ক অবরোধ করে।
জল ছাপিয়ে যাচ্ছে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে। —নিজস্ব চিত্র।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই অবরোধ ওঠে। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, “পাঁশকুড়ায় বাঁধ বাঁধার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। সেনাবাহিনী ওই বাঁধ আরও শক্ত করার জন্য এখনও কাজ করছে। ফের যাতে বাঁধ না ভাঙে, তার জন্য শীঘ্রই কলকাতা থেকে একটি বিশেষজ্ঞদল আসবে। তাঁরা ওই এলাকায় বাঁধের পরীক্ষা করে স্থায়ী ভাবে মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.