উদ্যোগী জেলা পরিষদও
সব পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্ক খোলার তোড়জোড়
কশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে পেনশন প্রকল্প প্রায় সব প্রকল্পের টাকাই এখন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পৌঁছয় উপভোক্তার হাতে। অথচ, পশ্চিম মেদিনীপুরের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্কই নেই। ফলে, সমস্যা হয়। সমস্যার সমাধানে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা নিয়ে এ বার আলোচনা হল জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে। জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড তৈরির পর বৃহস্পতিবার ছিল ওই সমিতির প্রথম বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি প্রমুখ। ছিলেন বিভিন্ন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লকে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২৯০। এর মধ্যে ৭৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ব্যাঙ্ক নেই। ফলে, সমস্যায় পড়েন ওই সব এলাকার মানুষ। পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে তাঁরা কোনও ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন। সেখানেই টাকা জমা রাখেন। অথচ, এক সময় জেলাস্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও না-কোনও ব্যাঙ্কের শাখা থাকবে। সেটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হতে পারে কিংবা সমবায় ব্যাঙ্ক। সিদ্ধান্ত অবশ্য কার্যকর হয়নি। এখন গ্রামাঞ্চলের মানুষও ব্যাঙ্কের উপর অনেকটা নির্ভরশীল। কারণ, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা উপভোক্তারা ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই পান। আবার, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের মজুরিও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মেলে। মজুরির টাকা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে ৭৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাঙ্ক খোলার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ নিয়ে জেলা পরিষদও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। পাশাপাশি, বেশ কয়েক’টি রাস্তা সংস্কার, কয়েক’টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ওঠে বন্যার জেরে ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গও। এক নাগাড়ে বৃষ্টি এবং জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে অক্টোবরেই দু’দফায় বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে জেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লকের মধ্যে ২৬টি ব্লকে কমবেশি দুর্যোগের প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে জলমগ্ন হয় ১১-১২টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যায় জেলার ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৪৫০ কোটি। এর মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি ২৮৫ কোটি। বন্যার ফলে কী কী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তা-কালভার্ট-সেতুর হাল কেমন, কী কী ক্ষেত্রে জরুরি সংস্কার-মেরামত জরুরি, এ সব নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়, এ বার দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা হবে। যে সব কাজ আগে করা জরুরি, সেগুলোই আগে করা হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.