লালুপ্রসাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল রাঁচি হাইকোর্ট। ফলে আপাতত লালুপ্রসাদকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। নব্বই এর দশকে বিহারে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির জেরে চাইবাসা ট্রেজারি তছরুপের মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন অবিভক্ত বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। সিবিআই আদালত লালুপ্রসাদকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে।
সিবিআই আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে লালুপ্রসাদ রাঁচি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন। গত কাল হাইকোর্টের বিচারপতি রাকেশরঞ্জন প্রসাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ ও সিবিআই— দু’পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন। আজ সেই আবেদনের রায় দিতে গিয়ে বলেন, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে তিনি মনে করছেন লালুপ্রসাদকে জামিন দেওয়া যাবে না। ফলে জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিহারের জেডিইউ সাংসদ জগদীশ শর্মার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, এর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিহারের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে দু’মাসের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছে রাঁচি হাইকোর্টই।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর লালুপ্রসাদ-সহ অন্যান্যদের দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছিল সিবিআই আদালত। ৩ অক্টোবর সকলেরই সাজা ঘোষণা করা হয়। সাজা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করার সময় পাননি লালুপ্রসাদ। দুর্গা পুজো এসে যাওয়ায় আদালত বন্ধ হয়ে যায়। পুজোর পরে গত সপ্তাহেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরজেডি নেতা। বুধবার থেকেই হাইকোর্টের এই মামলাটিকে ঘিরে কৌতুহল তৈরি হয়। লালুপ্রসাদ জামিন পাবেন, এমনটা ধরে নিয়েই পটনা ও রাঁচি থেকে আরজেডি নেতা-কর্মীরা আজ হাইকোর্টে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় দৃশ্যতই তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। আরজেডি নেতা তথা আইনজীবী রাজনীতিপ্রসাদ সিংহ আদালতের বাইরে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমরা জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাব।” |