ছাত্রীর কামিজ পেলেন বাবা, প্রশ্ন পুলিশের ভূমিকা নিয়েই
পুলিশ খুঁজে পায়নি। বর্ধমানে কিশোরীর ধর্ষণ ও খুনের চার দিন পরে ঘটনাস্থলে তার কামিজ খুঁজে পেলেন বাবা। ফলে পুলিশি-তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের নবাবহাটের ওই ছাত্রীর মা জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে কামিজ উদ্ধারের কথা জানান। জেলাশাসক বলেন, “এই ঘটনা জানা ছিল না। কী করে ওই পোশাক এখনও খালে পড়ে ছিল, বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলব।” পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা আবার বলেন, “আমি ঘটনাটির কথা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
নবাবহাটে ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কার্জন গেটের সামনে পথ অবরোধ।
তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এ দিনই বর্ধমানের বিজয়তোরণ চত্বরে জি টি রোড অবরোধ করেন নবাবহাটের বাসিন্দারা। ছাত্রীটির মায়ের ক্ষোভ, “মেয়ের দেহ মেলার পরে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ এক বারও আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায়নি। যে কাজ পুলিশের করার কথা, তা আমরা করছি। পুলিশ তা হলে কী করছে?”
অবরোধ তুলতে গিয়ে ঘেরাও হন এসডিপিও (বর্ধমান) অম্লানকুসুম ঘোষ এবং বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষে পুলিশ ঘোষণা করে, দোষীরা সাজা পাবেই। মেয়েটি যেখানে পড়ত, এ দিন সেই স্কুলে পুলিশ একটি সচেতনতা শিবির করে। এসডিপিও বলেন, “রাস্তাঘাটে কেউ উত্ত্যক্ত করলে ছাত্রীটি যেন বাড়িতে জানায়। অভিভাবকেরাও যেন তৎক্ষণাৎ পুলিশের কাছে যান।”
নবাবহাটের ঘটনার প্রতিবাদে কাটোয়ায় জ্বলল মোমবাতি।
প্রতি স্কুলেই এই ধরনের শিবির হবে বলে পুলিশের দাবি। শুক্রবার রাতে শিক্ষকের কাছে পড়ে ডিভিসি-র সেচখালের নির্জন পাড় ধরে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। পরের দিন খালপাড় খুঁজে মেলে শুধু তার জুতো। অথচ রবিবার সকালে সেই খালপাড়ের ঝোপে দেহ মেলে, যেখানে আগের দিনও খোঁজা হয়েছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশের সন্দেহ, মাঝে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা দেহটি কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ময়না-তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মেয়েটিকে গণধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পুলিশ দু’দফায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.