চেনা তালুকে পরিচিত মেজাজে ‘নির্বাচনের ভিত’ গড়তে নেমে পড়লেন অধীর চৌধুরী।
খুনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় প্রায় মাস দেড়েক বহরমপুরে পা রাখেনননি তিনি। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে বার কয়েকের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মেলায় দিন কয়েক আগে দিল্লি ফেরত রেল প্রতিমন্ত্রী বুধবার তাঁর প্রথম জনসভা করলেন রেজিনগরের নাজিরপুরে। চেনা স্বরে রাজ্যের শাসক দলের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঠেকিয়ে রাখা এবং বামপন্থীদের তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার ‘অবাস্তবতার’ উল্লেখ করে অধীর এ দিন কার্যত আগামী লোকসভার প্রচারই শুরু করে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
তৃণমূল কর্মী কামাল শেখ খুনের তদন্ত শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে চার্জশিট পেশ করে জেলা পুলিশ। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল রেল প্রতিমন্ত্রীরও। আগাম জামিনের ‘তোয়াক্কা’ না করে সে সময়েই বহরমপুর ফিরতে চেয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে নিজের খাসতালুকে সে যাবত আর ফেরা হয়নি তাঁর। অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরে গত ২৬ অক্টোবর বহরমপুরে ফিরে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকা এক জনসভায় স্বমেজাজেই হাজির ছিলেন অধীর।
বুধবার বিকেলে মন্ত্রীর সভা ছিল একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের নির্বাচনী এলাকা রেজিনগরে। সভা শুরুতেই হুমায়ুনকে লক্ষ করে তাঁর কটাক্ষ ছিল, “নাজিরপুরে কংগ্রেসকে মুছে দিলাম বলে যাঁরা তৃণমূল নেত্রীর কাছে আশীর্বাদধন্য হতে চান তাঁরা এই সভা দেখে হতাশ হবেন।” আগাগোড়া এই সুরে বেঁধে রাখা তাঁর বক্তব্যে তীব্র সমালোচনা করা হয় রাজ্য সরকারের।
প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-বিজেপি দু’পক্ষই নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে কমিশনের কাছে। অভিযোগ, বহরমপুর সার্কিট হাউসে বসে পুরভোটের দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস এবং বিজেপি-র মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মণ্ডল। |