নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে নীতীশ কুমার যখন দিল্লি দৌড়চ্ছেন, মোদী তখন মন দিচ্ছেন বিহারে। বিজেপি সূত্রের খবর, পটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে ফের বিহারে আসতে পারেন মোদী। ২ নভেম্বর মোদীর পটনা সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
নীতীশ কুমার তথা জেডিইউ যত দিন এনডিএ-তে ছিলেন, মোদীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেন তাঁরা। মোদীকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হলে নীতীশরা যে এনডিএ ছাড়বেন, তা স্পষ্ট ছিল। ঘটেওছে তাই। ফলে এই মুহূর্তে বিজেপি-জেডিইউ দ্বৈরথ তুঙ্গে। তার উপর পটনায় মোদীর সভার দিনেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কৌশলী মোদী বক্তৃতায় বিস্ফোরণ নিয়ে কিছু না বলেও নীতীশকে তুলোধোনা করেছেন। তাঁকে প্রতারক বলেছেন।
কাল থেকে মোদীকে আক্রমণ শুরু করেছেন নীতীশও। বলেছেন, মোদীর লাল কেল্লায় পতাকা তোলার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। আজও ফের রাজধানী দিল্লির বুকে বামেদের মঞ্চে একই ভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন। আজই আবার বিজেপি-র তরফেও মোদীর ফের পটনা সফরের কথা ঘোষিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দু’টো ঘটনাকে পরস্পরবিচ্ছিন্ন নয় বলেই মনে করছেন। তাঁদের মতে, নীতীশকে কোণঠাসা করতেই মোদী এই সফরের কথা ভেবেছেন। এবং প্রস্তাবিত এই সফর নিয়ে দু’দলের তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। লোকসভায় বিহারের ৪০ এবং উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসন বিজেপির পাখির চোখ। ফলে নির্বাচনের আগে এখন মোদীকে ঘনঘনই এই দুই রাজ্যে যেতে হবে।
প্রদেশ বিজেপি সূত্রের খবর, হেলিকপ্টারে ঘুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। বিহারে বিজেপির অন্যতম নেতা সুশীল মোদী বলেন, “নিহতরা সকলেই বিহারবাসী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের উচিত ছিল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানো। তা তিনি করেননি। নরেন্দ্র মোদী নিজে তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসছেন।”
জেডিইউ শিবিরের বক্তব্য, ঘটনার দিনই নিহতদের পরিজনদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন নীতীশ। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখাও করেন। জেডিইউ-এর বরং প্রশ্ন, মোদী ঘটনার দিন কেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি? বিজেপির জবাব, নিরাপত্তার কারণে পুলিশের অনুরোধ মেনেই সে দিন হাসপাতালে যাননি মোদী। |