ছ’শোর কাছাকাছি প্লেয়ার, আঠারোটি জেলা দলকে নিয়ে পনেরোটি ইভেন্টের রাজ্য টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ চার দিনেই শেষ করে ফেলল বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার শেষ দিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পুরুষ ও মেয়েদের রাজ্য সেরা হলেন যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুরের কিরঞ্জয় পুশিলাল এবং শিলিগুড়ির চন্দ্রিমা সেন। টুর্নামেন্টে একমাত্র দ্বিমুকুটজয়ী কিরঞ্জয় বালক সিঙ্গলসেও চ্যাম্পিয়ন হন। যিনি আবার বাংলার প্রাক্তন জাতীয় টিটি কোচ জয়ন্ত পুশিলালের ভাইপো। পুরুষ ও মেয়েদের দলগত চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল যথাক্রমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও শিলিগুড়ি। অন্য ব্যক্তিগত বিভাগগুলিতে সেরা হলেন তনুশ্রী বসু, কুশল দাস, সমৃদ্ধি বনিক, অলোক সর্দার, বিশ্বরূপা গুপ্ত, সৈকত দে, শ্রেয়সী হাজরা, সৌমেন সাহা। রাজ্যের সেরা টেবল টেনিস জেলার বিশেষ পুরস্কার পেল পুরুলিয়া। তারা বালকদের দলগত চ্যাম্পিয়ন ও সাব জুনিয়র বালকদের দলগত রানার্স। এ ছাড়া দক্ষিণ কলকাতার আট বছরের মেয়ে স্পৃহা দেবনাথ (নার্সারি বিভাগে রার্নাস) টুর্নামেন্টের সেরা প্রতিভাবান প্লেয়ার মনোনীত হয়। সদ্য পদ্মশ্রী মৌমা দাসকে ব্লেজার-উত্তরীয়তে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য টিটি সংস্থা। |
সুভাষ ভৌমিক যোগ দেওয়ার পরও ভাগ্য ফিরল না চার্চিল ব্রাদার্সের। সোমবার শিলং-এ লাজং এফসি-র সঙ্গে ২-২ ড্র করল এই মুহূর্তে লিগ তালিকার বারো নম্বরে থাকা গোয়ার দল। চার্চিল-পুণে এফসি ম্যাচে সুভাষ গ্যালারিতে উপস্থিত থাকলেও সরকারি ভাবে তখনও দায়িত্ব নেননি। লেনি, অরিন্দমদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল চার্চিলের প্রথম ম্যাচ। শিলংয়ে সুভাষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য বললেন, “আমার টিম খুব ভাল খেলেছে। ছয় গোলে জিততে তো পারতামই। তবে যা হয়নি, তা নিয়ে আর ভাবছি না। দলের খেলায় আমি সন্তুষ্ট।” ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যান চার্চিলের বিনীশ বালান। কিন্তু সেই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সুভাষের দল। বিরতির আগেই মিলন সিংহ ও উইলিয়ামের পর পর দু’টি গোলে উলটে লাজং-ই ২-১ এগিয়ে যায়। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে যদি হুগো মাচাদো গোল শোধ না করতেন তবে পাহাড় থেকে খালি হাতেই ফিরতে হত গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচকে। পুরো পয়েন্ট না পেলেও এই দল নিয়ে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী চার্চিল টিডি। বলে দিলেন, “আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন ভাল কিছু তো করবই। এই দল নিয়েই লড়াই করে যাব। দেখা যাক না কত দূর যেতে পারি।” |
প্রায় বছর সাতাশ আগের ঘটনা। শারজায় এক টুর্নামেন্ট চলার সময় ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ঢুকে এসেছিলেন এক ‘ব্যবসায়ী’। যাঁর নাম ছিল দাউদ ইব্রাহিম! ১৯৮৬-র সেই ঘটনার কথা এ দিন এক অনুষ্ঠানে এসে বলছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকর। সে দিন দাউদকে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে এনে ‘ব্যবসায়ী’ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা মেহমুদ। সে ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বেঙ্গসরকর বলছিলেন, “পরের দিনই আমাদের ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানকে হারালে দাউদ সবাইকে একটা করে গাড়ি দেবে বলেছিল। কিন্তু টিম সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। কপিল সে দিন দাউদকে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিল।” বছর সাতাশ আগের সেই শারজা সফরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুমে দাউদের আসার ঘটনার কথা অবশ্য আগেও জানাজানি হয়েছে। সেই সফরের ম্যানেজার ছিলেন প্রয়াত বোর্ড সচিব জয়বন্ত লেলে। তাঁর বইয়ে এ ঘটনার কথা লিখেছিলেন লেলে। |
বৃষ্টিতে চতুর্থ আর পঞ্চম ওয়ান ডে ভেস্তে যাওয়ায় সিরিজে ভারতের সমতা ফেরানোর আশা ধাক্কা খেয়েছে সন্দেহ নেই। তবে এই বৃষ্টিই কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের ওয়ান ডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখতেও সাহায্য করল। অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দু’নম্বর থেকে শীর্ষে উঠে আসতে চলতি ওয়ান ডে সিরিজ ৬-১ জিততে হত। সাত ম্যাচের সিরিজে বাকি দুই ওয়ান ডে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার আর র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসার সম্ভাবনা নেই। শেষ দুটো ওয়ান ডে জিতলেও জর্জ বেইলিদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১১৯। আর ভারতের পয়েন্ট ১২০। |
১৬৪ বলে ১১৭ রান। ওটাগোর হয়ে এক আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে সেঞ্চুরি দিয়েই সাত মাস পর ক্রিকেট মাঠে ফিরলেন বিতর্কিত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার জেসি রাইডার। চলতি বছরের মার্চে ক্রাইস্টচার্চে একটি পানশালায় দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত করেন রাইডারকে। পরে তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গেলে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ডও হন। জোড়া ধাক্কা সামলে রাইডারের মাঠে ফিরেই সেঞ্চুরি তাই কম চমক নয়। ২৯ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান বলছেন, “ভাগ্য ভাল মারাত্মক আঘাত পাওয়ার পরও মারা যাইনি। জাতীয় দলে আবার ফিরে আসাই এখন লক্ষ্য।”
পুরনো খবর: ভাল আছি, আইসিইউ থেকে বেরিয়ে রাইডার |
ভারতীয় বোর্ড এবং আইসিসি সংক্রান্ত বিষয় থেকে সরে থাকার সিদ্ধান্ত তাঁরই। এমনটাই দাবি করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিইও হারুন লর্গ্যাট। সপ্তাহখানেক আগে সিএসএ লর্গ্যাটকে সরিয়ে দেওয়ার পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সম্মতি জানায় ভারতীয় বোর্ড। এদিন লর্গ্যাট বলেন, “ভারতের সফর চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত সরে থাকার প্রস্তাবটা আমিই বোর্ডকে দিয়েছিলাম। আমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ট্যুর বাতিল হওয়ার কারণ হতে চাই না। আমি সরে যাওয়ায় ট্যুরটা যে চূড়ান্ত হল তাতে খুশি।”
পুরনো খবর: লর্গ্যাটকে ‘বলি’ ধোনিদের সফর বাঁচাল দঃ আফ্রিকা |
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও খেলা হল না বাংলা-বরোদা রঞ্জি ম্যাচ। এ দিন আকাশ পরিষ্কার থাকায় সকাল থেকেই চড়া রোদ ছিল শহরে। তবে ইডেনে জল না থাকলেও পিচ ও আউটফিল্ড খেলার উপযুক্ত ছিল না। দুই আম্পায়ার সারা দিনে মোট তিন বার পিচ ও আউটফিল্ড পরিদর্শন করেন। দুপুর দেড়টায় শেষ বার পিচ ও আউটফিল্ড দেখার পর এ দিনের মতো খেলার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দেন। এ দিন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকায় মঙ্গলবার ম্যাচের তৃতীয় দিন খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সকালে আম্পায়াররা পিচ ও আউটফিল্ড দেখার পর কখন খেলা শুরু হবে সে ব্যাপারে সবুজ-সঙ্কেত দেবেন।
পুরনো খবর: বাংলার ম্যাচ হল না প্রথম দিন |