আমি ভাল আছি। তবে ভীষণ ক্লান্ত হাসপাতালের রোগশয্যা থেকে নিজের অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আজ এই বার্তা পাঠিয়েছেন জেসি রাইডার। তবে বুধবার গভীর রাতের ঘটনা নিয়ে এখনও পুলিশের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট তারকার।
গতকাল কোমা থেকে বেরিয়ে আসার পর আজ রাইডারকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে সাধারণ বেড-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আঠাশ বছরের ক্রিকেটারের প্রাথমিক বিপদ কেটে গিয়ে শারীরিক অবস্থার উল্লেখজনক উন্নতি হওয়াতেই চিকিৎসকেরা তাঁকে আইসিইউ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছেন রাইডার। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
ক্রাইস্টচার্চের পানশালার সামনে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে মারাত্মক জখম হয়ে কোমায় চলে যাওয়ার তিন দিন পর আজ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড মারফত এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন রাইডার। বিবৃতিতে লিখেছেন, “শুধু সবাইকে এটুকু বলতে চাই যে আমি ঠিক আছি। আজ আগের থেকে অনেক ভাল বোধ করছি। তবে ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। আমি আপনাদের পাঠানো মেসেজগুলো পড়ছি। গত কয়েক দিন ধরে আমার জন্য এত চিন্তা আর এত প্রার্থনা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। হাসপাতালের প্রত্যেক কর্মীকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। এখানে আমার দারুণ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।” কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য নিজের পরিবার আর বন্ধুদের কাছেও আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাইডার। তবে তাঁর ম্যানেজার অ্যারন ক্লি বলে দিয়েছেন, “খুব সম্ভবত পুরো সুস্থ না হয়ে ওঠা পর্যন্ত বাইরের কারও সঙ্গে আর তেমন কথা বলবেন না জেসি। ও নিজের সমস্ত ফোকাসটা পুরোপুরি সেরে ওঠার দিকে দিতে চায়। নিজের ফিটনেস ফিরে পাওয়া এখন ওর একমাত্র লক্ষ্য।”
ক্লি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা গ্রেফতার হলেও হাসপাতালে এসে এখনও রাইডারের বয়ান নিয়ে যায়নি ক্রাইস্টচার্চ পুলিশ। রাইডার নিজে এখনও হামলার কথা মনে করতে পারছেন না।
|