ক্রিকেট দুনিয়ার স্বস্তি ফিরিয়ে কোমা থেকে বেরিয়ে এলেন জেসি রাইডার। তবে বুধবার গভীর রাতের যে হামলায় তাঁর প্রাণ যেতে বসেছিল, সেই আক্রমণের ঘটনার কোনও স্মৃতিই নেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারের। তাঁর শুধু মনে আছে যে, বুধবার ক্যান্টারবেরির বিরুদ্ধে ওয়েলিংটনের হয়ে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার পরের সব ঘটনা পরম্পরাই যেন তাঁর মস্তিষ্কের স্লেট থেকে ধুয়েমুছে গিয়েছে!
এমনিতে রাইডারের শারীরিক অবস্থার উল্লেখজনক উন্নতি হয়েছে। তিনি শুধু কোমা থেকেই বেরিয়ে আসেননি। তাঁর ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়া হয়েছে। জ্ঞান ফেরার পর থেকে অল্পস্বল্প কথাও বলতে পারছেন রাইডার। যে খবরে উচ্ছ্বসিত রাইডারের পরিবার এবং বন্ধুরা। তাঁর ম্যানেজার অ্যারন ক্লি তো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেছেন, “স্বাভাবিক ভাবেই জেসির শারীরিক উন্নতিতে আমরা দারুণ খুশি। ও কথাও বলছে। সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ওঠার জন্য জেসির সামনে এখন কঠিন লড়াই।” |
হাসপাতালে রাইডার। ছবি ফেসবুকের। |
চিকিৎসকরাও মনে করছেন যে যত সময় যাবে এবং ওষুধের ঘোর কাটবে, তত স্মৃতি ফিরে আসবে রাইডারের। তাঁর মস্তিষ্কের চোট কতটা গুরুতর, সেটাও বোঝা যাবে। ক্লি বলেছেন, “জেসির শুধু মনে আছে যে ও ওয়েলিংটনের হয়ে ডাক করে আউট হয়েছিল।” কিন্তু তার পর বন্ধুদের সঙ্গে পানশালায় যাওয়া থেকে শুরু করে বিভীষিকার সেই রাতের কোনও কথাই মনে নেই। রাইডারের জ্ঞান ফেরার সময় এ দিন পাশেই ছিলেন তাঁর মা হেদার এবং বান্ধবী অ্যালি। এক যুগ্ম বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এখন জেসিকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা।” হাসপাতালের সামনে মোমবাতি মিছিল করে রাইডারের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন অনেকে। অ্যালি তাঁদের আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন। চিকিৎসকদের, পুলিশকে এবং নিউজিল্যান্ড বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেদার ও অ্যালি।
এ দিকে, ক্রাইস্টচার্চ পুলিশ জানিয়েছে, রাইডারকে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতার দুই অপরাধীর বাইরে আর কেউ জড়িত ছিল বলে তারা মনে করে না। ধৃতদের আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে।
|