এক-আধবার নয়। বিজেন্দ্র সিংহ গত ১৩ মাসে অন্তত ১২ বার মাদক নিয়েছেন বলে দাবি করল পঞ্জাব পুলিশ। তাদের তদন্তে অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার সম্পর্কে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। ১৩০ কোটি টাকার হেরোইন কেলেঙ্কারিতে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ সিংহ কাহলোঁর সঙ্গে বিজেন্দ্রর ৮০ বার মোবাইল ফোনে কথোপকথনের প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি করেছে পঞ্জাব পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত বক্সার রাম সিংহের বিরুদ্ধেও মাদক নেওয়ার নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
রবিবার পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি এমএফ ফারুকি জানান, বিজেন্দ্র সত্যিই মাদক নিতেন কি না, সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁর রক্ত এবং চুলের নমুনা পেতে আদালতের কাছে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে পুলিশের কাছে রক্ত ও চুলের নমুনা দিতে অস্বীকার করেছিলেন বিজেন্দ্র। তবে এখনও তাঁর থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি বলে তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত বছরই কাহলোঁর সঙ্গে পরিচয় বিজেন্দ্রর। রাম সিংহ জানিয়েছিলেন, বিজেন্দ্রর মোবাইল ফোন থেকেই একাধিক বার কাহলোঁর সঙ্গে তাঁর কথা হয়। বিজেন্দ্রর সঙ্গে ‘মজা’ করতেই একাধিক বার মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন রাম সিংহ। শুধু ফোনেই নয়, পরস্পরকে প্রায় ১০ বার এসএমএসও করেন কাহলোঁ ও বিজেন্দ্র।
এখনও পর্যন্ত বিজেন্দ্রর তরফে পঞ্জাব পুলিশের দাবির বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে পুলিশের সামনে বিজেন্দ্র সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
কিন্তু এখন পুলিশ যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রমাণের ফাঁস জোরালো করছে, তাতে তিনি কী বলেন, সেটাই দেখার।
গত মাসের গোড়ায় জিরাকপুরে কাহলোঁর বাড়ির সামনে বিজেন্দ্রর স্ত্রী-র গাড়ি উদ্ধার হওয়ার পরই এই মামলায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল পদকজয়ী বক্সারের। তবে পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, বিজেন্দ্র এবং রাম সিংহের সঙ্গে মাদক সরবারহকারীদের যোগাযোগ থাকলেও তা শুধু খদ্দের হিসেবেই। এর বাইরে কিছু নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। বিজেন্দ্রর রক্ত এবং চুলের নমুনা পেলে অভিযুক্ত বক্সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সুবিধা হবে বলেই দাবি পঞ্জাব পুলিশের। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করলেও এই মাদক-র্যাকেটের মাথা বলে অভিযুক্ত জগদীশ ভোলা-কে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
|