যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সরকারি ভাবে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে যাওয়ার দিনে, বড়সড় ঝামেলায় জড়িয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সিইও হারুণ লর্গ্যাট।
ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে ‘বাঁচানো’-র জন্য লর্গ্যাটকে কার্যত ‘বলি’-ই দিয়ে দিল ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে জড়িত যে কোনও রকম ব্যাপার থেকে লর্গ্যাটকে সরিয়ে নিল তারা। শুধু তাই নয়, আইসিসি-র চিফ একজিকিউটিভ কমিটি থেকেও লর্গ্যাটকে সরিয়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড। তবে রাতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জানানো হয়েছে, লর্গ্যাটকে সাসপেন্ড করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলবে। এবং যত দিন না লর্গ্যাটের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হচ্ছে, আইসিসিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না লর্গ্যাট।
মঙ্গলবার এক ভারতীয় বোর্ড এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, লন্ডনে শেষ কয়েক দিনের বৈঠকের পর দু’দেশের বোর্ড সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে দু’টো টেস্ট এবং তিনটে ওয়ান ডে খেলতে। তবে সিরিজ কবে থেকে শুরু, সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। কিন্তু সঙ্গে এ-ও জানানো হয় যে, সফর চূড়ান্ত হয়েছে লর্গ্যাট এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার প্রাক্তন আইনি পরামর্শদাতা ডেভিড বেকারকে নিয়ে কথাবার্তার পর।
গত জুলাই থেকেই ধোনিদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে একের পর এক ঝামেলা চলছিল। প্রথমে, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সফরসূচি তৈরি করে দেওয়াটা মোটেও ভাল ভাবে নেয়নি ভারতীয় বোর্ড। তার উপর লর্গ্যাটকে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা-র সিইও করে দেওয়া নিয়েও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছিল। লর্গ্যাট আইসিসি সিইও থাকার সময় থেকেই ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতান্তর দেখা দিয়েছে। এ সবের মধ্যেই আবার বেকার ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। মনে করা হতে থাকে, পরোক্ষে লর্গ্যাটই কথাগুলো বলতে চেয়েছেন। শুধু বলানো হয়েছে বেকারকে দিয়ে। যৌথ বিবৃতিতে বিবৃতিতে এ দিন বলা হয় যে, বেকারের মন্তব্যকে প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছে আইসিসি এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। |