ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটাতে এ বার মাঠে নামছে আইসিসি। সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ ডেভ রিচার্ডসনের কথায় সে রকমই ইঙ্গিত। দক্ষিণ আফ্রিকান মিডিয়ায় তিনি বলেন, “দুটো শক্তিশালী সদস্যের মধ্যে সমস্যার ব্যাপারটা আইসিসি মোটেই ভাল চোখে দেখছে না। আমরা সমাধানের পথ খুঁজতে যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি।”
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েই যত বিপত্তি। সিএসএ আগেই তিন মাসের সফরসূচি প্রকাশ করে দিয়েছিল। পরে ভারতীয় বোর্ড প্রচুর কাটছাঁট করে আলাদা একটি সফরসূচি পাঠায়। ভারতীয় বোর্ডের প্রবল আপত্তি থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের সিইও হিসেবে প্রাক্তন আইসিসি কর্তা হারুন লর্গ্যাটকে নিযুক্ত করা নিয়ে সমস্যা বলে অভিযোগ।
আইসিসি যদিও সরাসরি ভারতের এই সফরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও কথা বলেনি। রিচার্ডসন বলেন, “ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে আমরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারি না। কোনও সমস্যা হলে আমরা সাহায্য করতে পারি।” পাশাপাশি আইসিসি কর্তাকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতীয় বোর্ডের হাতে এত ক্ষমতা থাকাটা কি ক্রিকেটের জন্য অস্বাস্থ্যকর? উত্তরে সতর্ক রিচার্ডসন বলেন, “একটি মাত্র সংস্থার হাতে প্রচুর ক্ষমতা থাকা ঠিক নয়। যদিও বা থাকে, সেই ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করা উচিত।”
ভারতীয় বোর্ড এই সফর বাতিল করলে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের যে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে সে প্রসঙ্গে রিচার্ডসনের বক্তব্য, “ভারত কোনও দেশে সিরিজ খেলতে গেলে সব থেকে বেশি লাভ হয় সেই দেশের বোর্ডেরই। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে ভারত সফরে গেলে সে দেশের ক্রিকেটের আর্থিক উন্নতি হয়েছে। হয়তো ভারত সফরে না গেলে সে দেশের ক্রিকেটের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়ত।”
গত ছ’বছরে ভারত যে বারই সফর করেছে প্রচুর লাভ হয়েছে সিএসএ-র। আইপিএল টু আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাই। ভারতে নির্বাচন থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে আইপিএল টু আয়োজন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সুসম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। রিচার্ডসন যদিও আশা ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আইসিসির দুই সদস্যের মধ্যে এই সমস্যা মিটে যাবে। বরাবরই ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থেকেছে। ভবিষ্যতেও থাকবে এটাই আশা। দু’দেশের বোর্ডকেই প্রয়োজন ক্রিকেটের।” |