সপ্তাহ তিনেক আগে বর্ধিত সভা থেকে জেলা কমিটির ১৮ জন নেতাকে ছেঁটে ফেলেছিল এসএফআই। দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছিল। জল্পনা ছিল, এ বার ডিওয়াইএফের পালা। শনিবার সিপিএমের যুব সংগঠনের বর্ধিত সভায় অবশ্য তেমন কিছু ঘটল না। মেদিনীপুরে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লা, রাজ্য সভাপতি আভাস রায়চৌধুরী প্রমুখ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ বলেন, “এটা আমাদের সাংগঠনিক সভা। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে কী ভাবে কাজকর্ম হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে জেলা কমিটির কোনও রদবদল হয়নি।”
দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে মেদিনীপুরে বর্ধিত সভার পরে বিকেলে ঝাড়গ্রামে কনভেনশন হয়। পুরভোটকে সামনে রেখে এই কনভেনশন। জেলা সম্পাদকের কথায়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যুব সমাজের কী দায়িত্ব, তা নিয়ে কনভেনশনে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে পুর-নির্বাচন। দুই শহরেই যুবকর্মীরা কাজ করবেন।”
সপ্তাহ তিনেক আগে মেদিনীপুরে এসএফআইয়ের বর্ধিত সভায় সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ১৮ জন নেতাকে ছেঁটে ফেলা হয়। নতুন ৮ জনকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়। এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এসএফআইয়ের জেলা নেতৃত্বের দাবি ছিল, সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদানের ক্ষেত্রে এঁদের ঘাটতি ছিল। তাই অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই সদস্যদের ‘শো-কজ’ও করা হয়েছিল। যদিও সংগঠনের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর দাবি, সবই হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক। গত জেলা সম্মেলনের আগে-পরে যাঁরা সংগঠনের কাজকর্ম নিয়ে সরা হয়েছিলেন, বেছে বেছে তাঁদেরই সরানো হয়েছে। ডিওয়াইএফের সভায় এমন কিছু না ঘটলেও আত্মসমালোচনা করেন নেতৃত্ব। মেনে নেন, যুবক-যুবতীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। প্রতিকূলতা থাকলেও আন্দোলন থেমে থাকবে না। সংগঠনের নেতৃত্ব আরও জানান, সরকার তৈরি করার সংগ্রাম ডিওয়াইএফের মতো বিপ্লবী যুব সংগঠনের একমাত্র কাজ নয়। সমাজ বদলের লড়াইয়ে আরও বন্ধুদের যুক্ত করার সংগ্রামেও ডিওয়াইএফকে থাকতে হবে। |