|
|
|
|
বন্যা, কর্মী-ইঞ্জিনের অভাবে নাকাল রেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একে বন্যার বাড়াবাড়ি। তার উপরে অভাব গার্ড-চালক, এমনকী ইঞ্জিনেরও! ফলে কয়েক দিন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাংলার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ুর রেল যোগাযোগ। ঘুরপথে ট্রেন চালানো নিয়েও ফাঁপরে রেলকর্তারা।
রেল সূত্রের খবর, অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলীয় জেলাগুলিতে ২৪ অক্টোবর থেকেই রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতে যাওয়া ট্রেনগুলিকে নাগপুর দিয়ে ঘুরপথে পাঠানো হচ্ছিল। রেলকর্তারা জানান, ঘুরপথে ট্রেন চালানোর জন্যই অভাব দেখা দিয়েছে কর্মী ও ইঞ্জিনের। কী ভাবে? এক রেলকর্তা জানান, নাগপুর দিয়ে ঘোরানোর ফলে যেমন অনেক বেশি পথ ঘুরতে হচ্ছিল ট্রেনগুলিকে, তেমনই এক রুটে অনেক বেশি ট্রেন চলে যাওয়ায় সময়েরও তালগোল পেকে গিয়েছে। ট্রেন দেরিতে চলায় যে গার্ড-চালক ট্রেন নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা সময়মতো ফিরতে পারছেন না। ফিরছে না গাড়ি-ইঞ্জিনও। ফলে হাওড়া থেকেও দক্ষিণ ভারতের গাড়ি ছাড়তে পারছে না রেল।
রেলের দাবি, ঘুরপথে ট্রেন চালানো শুরু হওয়ার পর দিন
দুয়েক নতুন রেক ও রিজার্ভে থাকা চালক-গার্ড দিয়ে ট্রেন চালানো হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটাও আর করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই ফের বেড়েছে বন্যার দাপট।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী দিন দুয়েক নিম্নচাপটি উপকূলীয় অন্ধ্রের উপরেই বৃষ্টিপাত ঘটাবে। তাতেই মাথায় হাত রেলকর্তাদের। রেল সূত্রের খবর, এর আগেই খুরদা রোড থেকে বিশাখাপত্তম পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় লাইনের উপরে বন্যার জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আলগা হয়ে যায় লাইনের তলার মাটিও। শনিবার রাতে পূর্ব উপকূল রেল জানিয়েছিল, জল কিছুটা নামায় চটজলদি লাইনের মেরামতি করা হয়েছে। দ্রুত ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও চলছে। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, আজ, সোমবার শালিমার-যশোবন্তপুর স্পেশ্যাল এবং পুরুলিয়া-বিল্লুপুরম এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি বাতিল করা হয়েছে। গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস ও হাওড়া-সেকেন্দরাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি ঘুরপথে যাবে। হাওড়া-তিরুচিরাপল্লী এক্সপ্রেস ও হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস-সহ কয়েকটি ট্রেনের সময় বদল হয়েছে। |
পুরনো খবর: বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশায় মৃত ২১, ব্যাহত রেল চলাচল
|
|
|
|
|
|