|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
সব রবি অনুষ্টুপের নহেন |
বইপোকা |
একুশে আইন আর গণেশ পাইন, সব আমাদের জন্য। নাগরিক কবিয়াল লিখিয়াছিলেন। কিন্তু তাহা যে এ বঙ্গের লিটল ম্যাগাজিন সংস্কৃতিতেও এমন করিয়া অনুসৃত হইবে তা কে জানিত! অনুষ্টুপের রবীন্দ্রনাথ (অতিথি সম্পাদক সমীর সেনগুপ্ত, সম্পাদক অনিল আচার্য) সংকলনগ্রন্থটির কথা বলিতেছি। ৪৫ বছরের ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকা হইতে রবীন্দ্র-বিষয়ক প্রবন্ধের এই সংকলনের সকল প্রবন্ধ ‘অনুষ্টুপ’-এ প্রকাশিত বটে, কিন্তু প্রথম প্রকাশিত নহে। অন্য পত্রপত্রিকা হইতে সেগুলি ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকায় পুনঃপ্রকাশিত হয়। সুতরাং সেই সকল প্রবন্ধের রবীন্দ্রনাথ ‘অনুষ্টুপের রবীন্দ্রনাথ’ নহেন। যেমন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অলস পাঠক ও রবীন্দ্রনাথের গল্প’ (‘অগ্রবীজ’, জুন ২০০৭), রণজিৎ দাশের ‘আধুনিক মানুষ, পানশালার দর্শন এবং রবীন্দ্রনাথ’ (‘কীর্তিনাশা’, মাঘ ১৪১১), শুভেন্দু দাশগুপ্তের ‘অধিকার আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ’ এবং পলাশবরণ পালের ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ (‘প্রতিদিন’), তপোব্রত ঘোষের ‘রক্তকরবী ও স্মৃতিলোক’ (‘বিশ্বভারতী পত্রিকা’)। অনুষ্টুপ পত্রিকায় প্রকাশকালে ইহাদের প্রথম প্রকাশের উৎস উল্লেখ করা হইয়াছিল। কিন্তু গ্রন্থে সেই উল্লেখ নাই। কেবল সমীর সেনগুপ্তের ‘রবীন্দ্রনাথ কি মদ্যপান করতেন?’ প্রবন্ধটির শেষে গ্রন্থেও প্রথম প্রকাশের সূত্র আছে, ‘একালের রক্তকরবী’। এক পত্রিকা হইতে অন্যটিতে প্রবন্ধ পুনঃপ্রকাশিত হইতেই পারে, কিন্তু পুনঃপ্রকাশের জোরে তাহার দাবি কোনও পত্রিকা করিতে পারে না, সম্পাদনার এই নীতি বিস্মৃত হইলে রবীন্দ্রচর্চার ইতিহাসেরই ক্ষতি। |
|
|
|
|
|