বলা হয়, তিন ঘণ্টা আগে টিকিট দেওয়া হয়। অথচ সাগরদিঘি স্টেশনে ট্রেন আসার মাত্র ৩০ মিনিট আগে টিকিট দেওয়া হয়। রামপুরহাট, নলহাটি ও আজিমগঞ্জের মতো স্টেশনে সব সময় টিকিট কাউন্টার খোলা থাকে না সাগরদিঘিতে। আমি রামপুরহাট থেকে সাগরদিঘি যাতায়াত করি। ভোর ৫টা ২৫ আর ৬টা ১৫-র ট্রেন দু’টি সাগরদিঘিতে ক্রসিং হয়। রামপুরহাট যাওয়ার ট্রেনটি প্রায় দিনই দেড়-দু’ ঘণ্টা দেরিতে সাগরদিঘিতে পৌঁছায়। ভিড় থেকে রক্ষা পেতে অগ্রিম টিকিট কাটা যায় না কাউন্টার খোলা না থাকায়। সাগরদিঘি থেকে রামপুরহাট যাওয়ার জন্য গত ১০ অক্টোবর বেলা সাড়ে দশটায় গণদেবতা ট্রেনের সিংরক্ষিত কামরার টিকিটের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করি, কিন্তু বলা হয় সব আসন ‘ওয়েটিং’ অর্থাৎ কোনও আসন খালি নেই। এ বার আমি সাধারণ কামরার ৩টি টিকিট চাইলাম। টিকিট দিলেন। তার আধঘণ্টা পর আবার আসন সংরক্ষণের জন্য আবেদন করি। এ বার তিন জনকেই সংরক্ষিত আসন দেওয়া হয়েছে ডি টু কামরায়। ৫০, ৫১, এবং ৫৪ নম্বর আসন। অথচ আধঘণ্টা আগে আসন খালি নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ বার কী করে আসন পেলাম বলে প্রতিবাদ করলে টিকিট বিক্রেতা রেলকর্মী অশ্লীল ভাষায় গালি দেন। গণদেবতায় উঠে আরও অবাক হয়ে যাই। দেখি সংরক্ষিত কামরার অধিকাংশ আসনই খালি পড়ে রয়েছে। সেই আসন গুলি দখল করে রয়েছে সাধারণ কামরার যাত্রীরা। টিকিট পরীক্ষকের টিকি দেখা গেল না। পাখাও অকেজো। অধিকাংশ আসন খালি পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন প্রথমে আমাকে টিকিট দেওয়া হল না তা আমার বোধগম্য হয়নি। প্রথমে আমাকে সংরক্ষিত আসনের টিকিট না দেওয়ায় সাধারণ কামরার ৩টি টিকিট কেটে ৯০ টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে রেলকর্মীর এ রকম অসৎ আচরণের কারণে। এ ব্যাপারে রেলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়, সাগরদিঘি
|
গত ১০ অক্টেবর পুজো পরিক্রমা পৃষ্ঠায় তাঁতিবিড়ল গ্রামের পুজো সম্বন্ধে প্রকাশিত বিবরণ পড়ে গ্রামের একজন বয়স্ক নাগরিক হিসাব আমি লজ্জিত। প্রকাশিত হয়েছে, তাঁতিবিড়ল গ্রামের পুজোটি স্পোর্টিং ক্লাবের ও তার বয়স ৭৫ বছর। এটি ভুল। গ্রামের ওই পুজোটি একান্তই পারিবারিক পুজো— চৌধুরি পরিবারের পুজো। বয়স আড়াইশো বছরেরও বেশি। দুর্গাপুজোয় ব্যবস্থাপনার জন্য গ্রামের প্রতিবেশীর সাহায্য নেওয়া হয়।
কৃত্তিকারঞ্জন সিংহ, বহরমপুর
প্রতিবেদকের জবাব: তাঁতিবিড়ল গ্রামের পুজো বলে অন্য একটি পুজোর বিবরণ প্রকাশিত হওয়ায় দুঃখিত। এটি নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত। গ্রামের জমিদার বাড়িতে দীর্ঘদিন দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এটি গ্রামের একমাত্র পুজো। |