|
|
|
|
হুগলিতে গেঁথে গেল নতুন যুদ্ধজাহাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহড়ায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল নৌবাহিনীর সদ্যনির্মিত একটি যুদ্ধজাহাজ। শুক্রবার বিকেলে গেঁওখালির কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। জাহাজটির অস্ত্রশস্ত্রেরও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
নৌবাহিনী সূত্রের খবর, আইএনএস-কামোর্তা নামে ওই যুদ্ধজাহাজটি গার্ডেনরিচ শিপ ইঞ্জিনিয়ার্সে তৈরি করা হয়েছে। এটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম সাবমেরিন-বিধ্বংসী জাহাজ। |
|
কী হয়েছে এ দিন? সেনা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে কলকাতার ডক থেকে রওনা দেয় আইএনএস-কামোর্তা। বেলা ৩টে নাগাদ গেঁওখালির কাছে হুগলি নদীতে বাঁক নিতে গিয়ে জাহাজটি নদীর পাড়ে ধাক্কা মেরে পলিতে গেঁথে যায়। কলকাতার সেনা মুখপাত্র তরুণকুমার সিঙ্ঘা বলেন, “হুগলি নদীতে নাব্যতা কম থাকার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। জাহাজটি পলিতে আটকে রয়েছে। জোয়ার এলে সেটিকে ফের ভাসিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।” গভীর রাত পর্যন্ত কামোর্তা আটকে রয়েছে বলেই খবর।
মহড়ায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ায় জাহাজটির ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেনার একটি সূত্রে বলা হয়েছে, জাহাজ মহড়ায় বেরোনোর আগে নৌবাহিনী ও গার্ডেনরিচ শিপ ইঞ্জিনিয়ার্সের বিশেষজ্ঞরা জাহাজটি পরীক্ষা করেছিলেন। সে সময় কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। শিপ ইঞ্জিনিয়ার্স সূত্রেরও দাবি, হুগলি নদীতে নাব্যতা কম থাকার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই সূত্রের ব্যাখ্যা, পুরোদস্তুর মাল-বোঝাই হলে ‘আইএনএস-কার্মোতা’র পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলের তলায় থাকে। কিন্তু গেঁওখালির ওই জায়গায় সাধারণ সময়ে ছ’-সাড়ে ছ’ফুট গভীরতা থাকলেও ভাটায় তা আরও কমে যায়। দুর্ঘটনার সময় ভাটা চলছিল বলেই সেনা সূত্রের দাবি। ওই সূত্রের ব্যাখ্যা, গেঁওখালির ওই জায়গাটিতে প্রায় ৯০ ডিগ্রি বাঁক রয়েছে। তার উপরে নাব্যতাও কম। সব মিলিয়েই দুর্ঘটনায় পড়েছে যুদ্ধজাহাজটি।
তবে এই ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ কিন্তু সেনার ত্রুটির দিকেই ইঙ্গিত করেছে। কলকাতা বন্দরের এক মুখপাত্র জানান, হুগলি নদীতে জাহাজ চলাচলের সময় বন্দরের পাইলট থাকে। তাঁর অভিযোগ, “পাইলট না থাকার ফলেই জাহাজটি ভুল চ্যানেলে ঢুকে পড়েছিল। তার ফলেই পলিতে আটকে যায় সেটি।” |
|
|
|
|
|