বিডিও-র আশঙ্কা
রাইপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের পুলিশ ২৪ ঘণ্টা পরেও গ্রেফতার করতে পারল না। কিন্তু ওই দুর্নীতির অভিযোগকারী রাইপুরের বিডিও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। বুধবার অনেক রাতে রাইপুরের বিডিও-র আবাসনে দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালায় বলে তাঁর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিডিও দীপঙ্কর দাস রাইপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বুধবার অনেক রাতে আমার আবাসনের জানলায় কেউ ধাক্কা মারে। বাসা চত্বরে কয়েকজনের হাঁটাচলার শব্দও কানে আসে। রাতেই পুলিশকে ফোন করি। তবে পুলিশ এসে কাউকে দেখতে পায়নি। এই ঘটনার পরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” তাই পুলিশের কাছে তিনি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “জঙ্গলমহলের সব বিডিও-কে দু’জন করে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া রয়েছে। বডিও-র তোলা অভিযোগ আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে রাইপুরের সবুজবাজারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের গুদামঘর পরিদর্শনে যান বিডিও দীপঙ্কর দাস। তাঁর দাবি, সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার শৈলেন গঙ্গোপাধ্যায়, রাইপুরের সিডিপিও সিমসন মুর্মু ও গুদামের স্টোর কিপার নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির তথ্য তাঁর হাতে আসে। বুধবার ওই তিনজনের বিরুদ্ধে তিনি রাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁর আবাসনে দৌরাত্ম্যের জন্য বিডিও কারও নামে অভিযোগ না জানালেও প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুর্নীতির অভিযোগ তোলার প্রেক্ষিতেই ওই উৎপাত। তবে পুলিশ সুপারের আশ্বাস, শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। অন্যতম অভিযুক্ত শৈলেনবাবুর খোঁজে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের দু’টি দল সারেঙ্গায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.