জোগানের সমস্যার কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই সমস্যা সাময়িক হলেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জোগানের ঘাটতি হচ্ছে বলেই পেঁয়াজ থেকে সব্জির দাম বাড়ছে। যাতে জোগান বাড়ে তার দিকে নজর দিতে হবে।”
পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে ক্রেতাদের ‘চোখের জল’ ঝরছেই। কলকাতা, দিল্লি-সহ বেশ কিছু শহরে চড়া দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দিল্লিতে পেঁয়াজের দাম কেজি পিছু ১০০ টাকা হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারও নড়েচড়ে বসেছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ার বলেন, “পেঁয়াজের ঘাটতি সাময়িক সমস্যা। দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে। তা হলেই দাম কমে যাবে।” মন্ত্রীর দাবি, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ফলন মার খেলেও তাতে চিন্তার কারণ নেই। গত বছরের তুলনায় এ বারে অনেক বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। ফলে উৎপাদন মার খাওয়ার প্রশ্ন নেই। |
উল্টে মন্ত্রীর আশঙ্কা, কিছু দিন পরে পেঁয়াজের দাম এতটাই কমে যাবে যে তখন পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরে যাবে। তখন হয়তো চাষিরা উপযুক্ত দাম পাবেন না।
পেঁয়াজের লাগামছাড়া দাম নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আজ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করে না বা পেঁয়াজের দামও ঠিক করে না। দাম ঠিক হয় বাজারের মাধ্যমে। কৃষিমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, নাসিকে চাষিরা পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন কেজি পিছু ৪৫ টাকা করে। অথচ সেই পেঁয়াজই দিল্লিতে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে কি করে বিক্রি হচ্ছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না!
ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের বেশ কিছু বাজারে আলুর দাম বাড়তে শুরু করেছে। চন্দ্রমুখী আলু ১৬-১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কৃষিবিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “কয়েকটি রাজ্যে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে আলু অন্যত্র পাঠাচ্ছেন। তাই দাম বাড়তে শুরু করেছে।” সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীর বক্তব্য, ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট বিভাগের এডিজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা কৃত্রিম ভাবে সব্জির দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।
|