দীর্ঘ ৩৫ মাস পরে বৃহস্পতিবার সেনসেক্স ফের ২১ হাজার অঙ্ক ছুঁল। যদিও শেষ পর্যন্ত জায়গাটা ধরে রাখতে পারেনি সূচক। দিনের শেষে ৪২.৪৫ পয়েন্ট পড়ে তা এসে দাঁড়ায় ২০,৭২৫.৪৩ অঙ্কে।
তবে এক দিনের হিসাবে বৃহস্পতিবার সূচক পড়েছে ২৭১.৫৪ পয়েন্ট। এক সময়ে তা ২১ হাজার ছাড়িয়ে ২১,০৩৯.৪২ অঙ্কে পৌঁছেছিল। যা ছিল আগের দিনের থেকে ৩১৩.৯৯ বেশি। কিন্তু লেনদেনের মাঝামাঝি সময় থেকে পড়তে থাকে। প্রধানত মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রির জেরই এ দিন ২১ হাজারে উঠলেও সূচককে টেনে নামিয়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর। তবে তা সত্ত্বেও আপাতত সূচকের মুখ উপরের দিকে থাকবে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ও স্ট্যুয়ার্ট সিকিউরিটিজ-এর চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “আপাতত বাজারে স্বাভাবিক উত্থান-পতন থাকবে। তবে বড় মাপের পতন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি না।” |
এই ধরনের আশার কারণ কী? কমলবাবুর ব্যাখ্যা, এখন ভারতের শেয়ার বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। গত কয়েক মাসেই তারা ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। আপাতত এ দেশের বাজার সম্পর্কে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মোহভঙ্গের কোনও কারণ দেখা যাচ্ছে না। তাই ধরে নেওয়া যায় তারা আরও লগ্নি করবে। আর এর জেরে সূচক যে উপরে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।
এ দিকে, আগামী মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফের ঋণনীতি পর্যালোচনায় বসছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর রঘুরাম রাজন ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারের আস্থা অর্জন করেছেন। তাঁরই কিছু ব্যবস্থার ফলে টাকার দাম বেড়েছে বলে বাজারের ধারণা। সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, রাজন এমন কিছু পদক্ষেপ করবেন, যা শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা হতে সাহায্য করবে। এ দিন জেট এয়ারওয়েজের শেয়ার দর অনেকটাই পড়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থার লোকসান আগের বারের থেকে প্রায় ৮ গুণ বেড়ে ৮৯১ কোটি টাকা হওয়াই যার জন্য দায়ী। |