মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মীদের আবাসন সংস্কারের কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ওই হাসপাতালে গিয়ে সংস্কার কাজের নমুনা পরীক্ষা করল। সেই পরিদর্শন নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।
সম্প্রতি এই হাসপাতালে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মচারীদের আবাসনগুলি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল। দু’টি ভাগে মোট ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে এর জন্য। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, নিম্নমানের মশলা ও সস্তার উপকরণ দিয়ে মেরামতির কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারাকিছু দিন আগে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভও দেখান। এর পরে সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, গোরাচাঁদ রজকদের অবশ্য দাবি, “এই পরিদর্শক দল ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে পরিদর্শনের কাজ সেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমরা আপত্তি জানাই। বলি কী ভাবে কাজ হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা কতখানি, তা জানতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই পরিদর্শনের কাজ সারতে হবে।” তৃণমূলের মানবাজার অঞ্চল সভাপতি মন্তাকিন খান বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়ালের প্লাস্টার ছাড়িয়ে নতুন ভাবে প্লাস্টার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বাস্তুকারের দল এ দিন আমাদের প্রশ্নের সরাসরি জবাবও দিতে পারেননি। তাঁদের ভূমিকা আমাদের সন্দেহজনক মনে হয়েছে।” এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, ঠিকাদারকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে কিছু কিছু মহল থেকে।
প্রতিনিধি দলে থাকা দেবলীনা নিয়োগী, গৌতম রায় ও শুভেন্দু দত্ত বলেন, “কাজের মানে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে, আমরা তা খুঁজে দেখছি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট জমা দেব।” রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ। |