‘আসিয়ানজয়ীরা হারাতে পারত কুয়েতের দলকে’


চার প্রশ্ন


১) আরও গোল হতে পারত। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা নিজেদের ক্ষমতা মতো খেলেই তিন গোল খেয়েছে। বাস্তব হল, আজকের দিনে কুয়েত আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। ট্যাকটিক্যালি-টেকনিক্যালি বিশ্লেষণ তো ছেড়েই দিলাম। সামান্য বল ধরা-ছাড়াতেও ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে অনেক এগিয়ে ওরা। শুনেছি ওদের রোজারিওর পেমেন্ট মাসেই ৩৬ লক্ষ টাকা। আমাদের বেশির ভাগ ফুটবলার এত টাকা বছরেও পায় কি না সন্দেহ! ইস্টবেঙ্গলের পুরো টিমের বাজেটই তো ১৫ কোটি।
২) কুয়েতের ডিফেন্স নড়বড়ে, সেটা অ্যাওয়ে ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল। পার্থক্য হল, এখানে সেই দুর্বল রক্ষণের সুবিধে তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কুয়েতও আরও সতর্ক হয়ে এসেছিল।
৩) এখনকার তুলনায় টেকনিক্যালি অনেক বেশি ভাল ছিল আমার দল। তবে আমি জ্যোতিষী নই যে, ম্যাচের ফল কী হত বলতে পারব! তবে যে সব ফুটবলার আমার দলে ছিল, তারা কুয়েতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। ওকোরো, ডগলাস, মুসাদের সঙ্গে ওপারা-মোগা-চিডিদের তুলনা হয় না।
৪) ‘ভোকাল টনিক’ হোক বা ‘ক্যাপসুল’, এখনকার যুগে কাজে না দিলেও বিপক্ষ টিমের ‘ফুটবলার-রিডিং’ দক্ষতায় প্রদীপদার তুলনা হয় না। রোজারিওকে এত সহজে দৌড়নোর সুযোগই দিতেন না।
 

১) শুরুটা দেখে একবারও মনে হয়নি ৩-০ হবে। বরং দু’টো গোল ইস্টবেঙ্গলেরই করা উচিত ছিল। দ্বিতীয় গোলটা খাওয়ার পরই ছন্দ কেটে গেল।
২) অ্যাওয়েতে ইস্টবেঙ্গলের হারানোর কিছু ছিল না। চার গোলে পিছিয়ে পড়ার পরে ওরা আরও তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে। তাতেই দু’টো পেয়েছিল। ঘরের মাঠে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ এত বেশি ছিল যে, কামব্যাক করার কোনও জায়গা ছিল না।
৩) বেক তেরো-র মতোই শক্তিশালী কুয়েত এস সি। ওদের যদি হারাতে পারি, কুয়েতকেও নিশ্চয়ই হারাতাম।
৪) মর্গ্যানের সঙ্গে ফালোপার তুলনা করতে চাই না। কেন না ফালোপার কোচিংয়ে আমি খেলিনি। তবে মর্গ্যান থাকলে ম্যাচটা হয়তো বার করে নিতেন।
 

১) এএফসি কাপ সেমিফাইনালে উঠে যে আশার আলো জাগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, তাতে তিন গোল খাবে ভাবিনি। কুয়েতের স্ট্যান্ডার্ড আমাদের তুলনায় অনেক উন্নত। তবু ম্যাচটা ০-১ কিংবা ড্র হবে ভেবেছিলাম।
২) বিপক্ষের নাম শুনেই কুয়েতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। না হলে শুরুতে চার গোলে পিছিয়ে পড়ত না। কিন্তু হাফটাইমে সঠিক হোমওয়ার্ক করে নামতেই দু’গোল পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে কোনও পরিকল্পনাই ছিল না।
৩) আসিয়ানের দলে অনেক পরিণত ফুটবলার ছিল। দক্ষতাতেও এই ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় অনেক এগিয়ে। জাতীয় দলের অন্তত সাত-আট জন ফুটবলার থাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। আমার ধারণা, কুয়েতকে হারানোর ক্ষমতা ছিল ভাইচুং-ওকোরোদের মধ্যে।
৪) তিয়াত্তরের প্রদীপদা থাকলে ম্যাচটা বোধহয় হারতে হত না। এ রকম বড় ম্যাচের আগে ফুটবলারদের কী ভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হয়, সেটা প্রদীপদার চেয়ে ভাল কেউ জানে না।


১) প্রথম কুড়ি মিনিটের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল হয়তো চার গোল দেবে। কিন্তু শুরুতে যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল, সেটা পরের দিকে ধরে রাখতে পারেনি।
২) একটাও ম্যাচ না হেরে কুয়েতে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই শুরুটা খারাপ করলেও, দ্বিতীয়ার্ধে দু’গোল করতে পেরেছিল। কিন্তু যুবভারতীতে নামার ঠিক আগেই ডেম্পোর কাছে তিন গোলে হেরে মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়ে মেহতাবরা।
৩) আসিয়ানের দলে যে সব ফুটবলার ছিল, তাদের বিকল্প হয় না। কুয়েতের মতো এত ভাল র‌্যাঙ্কিং না থাক, ওদের চেয়েও শক্তিশালী টিমের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল খেলেছে, জিতেওছে। আসিয়ানের দলটাও পারত।
৪) কুয়েত ম্যাচে দলকে তাতানোর লোক ছিল না। আমার বিশ্বাস, প্রদীপদার ‘ভোকাল টনিক’ পুরো মরসুম ধরে পেলে ম্যাচটা হারতে হত না। ফুটবলে স্কিলের সঙ্গে প্রচুর মানসিক শক্তি লাগে। যেটা প্রদীপদার চেয়ে ভাল কেউ পারে না।


পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.