সচিনের নিজের চিন্তায় এ দিন অবশ্য লাহলি ছিল না। ছিল সন্তানদের নিয়ে ভারত-দর্শন। এমসিএ-র সচিনের নামে কোনও ক্লাবের নামকরণ করার অধিকার নেই বলে শিব সেনার নবতম হম্বিতম্বির মধ্যেই এক পর্যটন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে এসে সচিন বললেন “বাবা হিসাবে চাই আমার বাচ্চারা নিজেদের দেশটাকে কাছ থেকে দেখে জানুক, চিনতে শিখুক। এত দিন সময় পাইনি। তাই অবসরের পরে ওদের সঙ্গে চুটিয়ে বেড়ানোটা আমার কাজের তালিকায় একদম উপরের দিকে রয়েছে।” বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খেলার সূত্রে তিনি নিজে ভূ-পর্যটকের থেকে কম নন। তবে সচিন বলছিলেন, “ভারতের প্রায় সর্বত্র খেলতে গিয়েছি। আর যত দেখেছি, তত বুঝেছি আমাদের দেশটা কত সুন্দর।”
এ বার চান পরিবারকেও সেই সব জায়গায় নিয়ে যেতে। সচিনের কথায়, “আমার বাচ্চারা তাজ মহল দেখেছে, স্বর্ণ মন্দির দেখেছে। জালিয়ানাওয়ালাবাগেও নিয়ে গিয়েছিলাম ওদের। প্রত্যেকটা জায়গাই ওদের প্রচণ্ড প্রভাবিত করে। আর ছোট বয়সের এই অভিজ্ঞতাগুলোই সারা জীবন সঙ্গে থেকে যায়।”
সচিন ভারত-ভ্রমণে আগ্রহী। এ দিকে, লাহলির মতো গ্রামে সচিনের থাকার উপযুক্ত হোটেলই নেই। অনেক ভেবে ঠিক হয়েছে, চার বা পাঁচ তারা না হলেও গ্রামের সেরা ‘রিভোলি’ হোটেলেই রাখা হবে সচিনকে। তবে শোনা যাচ্ছে, সচিন কাছাকাছি নিজের বন্ধুর কোনও গেস্ট হাউসেও নাকি থাকতে পারেন।
এ দিকে, লাহলি-সমস্যায় পুরনো বন্ধুর জন্য ছোট্ট পাদটিকা দিয়ে রেখেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছেন, “ওই হোটেলটা আমি জানি। একেবারে হাইওয়ের ধারে। ওখানে থাকলে সচিনের একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে!” |
অধিনায়ক ব্র্যাডম্যান, চারে তেন্ডুলকর
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অধিনায়ক স্যর ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান। আর চার নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। উইজডেনের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে টেস্টের যে সর্বকালের সেরা বিশ্ব একাদশ বাছা হয়েছে তাতে অবশ্য সচিন ছাড়া ভারত থেকে আর কেউ সুযোগ পাননি।
|
পুরো টিম |
১) জ্যাক হবস (৬১ টেস্ট, ৫৪১০ রান, ৫৬.৯৪ গড়)।
২) ডব্লিউ জি গ্রেস (২২ টেস্ট, ১০৯৮ রান, ৩২.২৯ গড়)।
৩) ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (৫২ টেস্ট, ৬৯৯৬ রান, ৯৯.৯৪ গড়)।
৪) সচিন তেন্ডুলকর (১৯৮ টেস্ট, ১৫, ৮৩৭ রান, ৫৩.৮৬ গড়)।
৫) ভিভিয়ান রিচার্ডস (১২১ টেস্ট, ৮ ৫৪০ রান, ৫০.২৩ গড়)।
৬) গ্যারি সোবার্স (৯৩ টেস্ট, ৮০৩২ রান, ৫৭.৭৮ গড়, ২৩৫ উইকেট)।
৭) অ্যালান নট (৯৫ টেস্ট, ৪৩৮৯ রান, ৩২.৭৫ গড়, ২৫০ ক্যাচ, ১৯ স্টাম্পিং)।
৮) ওয়াসিম আক্রম (১০৪ টেস্ট, ২৮৯৮ রান, ৪১৪ উইকেট)।
৯) শেন ওয়ার্ন (১৪৫ টেস্ট, ৭০৮ উইকেট)।
১০) ম্যালকম মার্শাল (৮১ টেস্ট, ৩৭৬ উইকেট)।
১১) সিডনি বার্নস (২৭ টেস্ট, ১৮৯ উইকেট)। |
|
|