নবান্নে পর্যাপ্ত জল দেওয়া নিয়ে কাজিয়া চলছেই
বান্নের চাহিদা মতো পানীয় জল সরবরাহ করতে গেলে বহু এলাকার মানুষকে নির্জলা থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন হাওড়ার মেয়র মমতা জায়সবাল। বুধবার তিনি বলেন, “নবান্নে রোজ ২ লক্ষ গ্যালন পানীয় জল প্রয়োজন। এই জল সরবরাহ করা মতো পরিকাঠামো এখন পুরসভার নেই। এখনকার পরিকাঠামোয় এই পরিমাণ জল দিতে গেলে হাওড়ার বহু মানুষ জল পাবেন না। এটা হতে দেওয়া যায় না।”
এ দিন মেয়র বলেন, “এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ৪ নম্বর বরো থেকে নবান্নে একটা পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। আজ আরও একটি নতুন পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
মেয়রের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ওঁর মেয়র হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই। এত দিন ধরে হাওড়ায় কোনও কাজই করেননি। যত তাড়াতাড়ি উনি দায়িত্ব ছাড়বেন, ততই হাওড়ার মঙ্গল।” মন্ত্রীর দাবি, হাওড়ার আগামী পুর-নির্বাচনে মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।
এইচআরবিসি সূত্রের খবর, এখন পুরসভা থেকে ২০ হাজার গ্যালন পানীয় জল পাচ্ছে নবান্ন। কিন্তু ১০ হাজার কর্মীর জন্য এই পরিমাণ জল পর্যাপ্ত নয়। এই অবস্থায় আপাতত ‘পাউচ প্যাকেটে’ পানীয় জল সরবারাহ করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, ওই জলের পাউচ তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ রায়পুরে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আর্সেনিকমুক্ত জলপ্রকল্পে।
জলাভাব মেটাতে পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে নবান্নে দু’টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। কিন্তু ওই নলকূপের জলের স্বাদ এতটাই নোনতা যে, তা মুখে দিতে পারছেন না নবান্নের কর্মীরা। তা ছাড়া, ওই জল পরিশোধিত নয় বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
নবান্নে জল দেওয়া নিয়ে পুরসভার সঙ্গে এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষের বিরোধ শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগে। তখন ওই সংস্থা অভিযোগ করেছিল, হাওড়া পুরসভার কাছে পর্যাপ্ত জল সরবরাহের আবেদন করলেও পুরসভা পাইপলাইনের কোনও সংযোগ দেয়নি। যদিও মেয়র দাবি করেছিলেন, নবান্নের জন্য ৪ নম্বর বরো থেকে পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ দিন মেয়র বলেন, “আমরা নবান্নে জল দেওয়া নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাইনি। কারণ জল দেওয়াটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দাবি মতো জল দেওয়া আমাদের পক্ষে যে সম্ভব নয়, তা আগেই জানিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও নবান্নে আসা সাধারণ মানুষ ও কর্মচারীদের কথা ভেবে আরও একটা পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
শুধু জলের অভাই নয়, নবান্নের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোর কাজও এখনও পুরো শেষ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় বুধবার সারা দিন ধরেই নবান্নের বিভিন্ন তলায় আসবাবপত্র তৈরির কাজ চলেছে। বহু ঘরে এখনও বস্তাবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে ফাইল। অনেক ঘরই ফাঁকা। কম্পিউটার-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র লাগানোর কাজ চলছে বহু সচিবের ঘরেও। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে এখনও বহু কম্পিউটার কাজ না করায় অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে না। যেমন, বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা আবুল হাসিম মল্লিক চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এ দিন তিনি প্রথমে মহাকরণে যান, সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে নবান্নে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে গেলে আবুল হাসিম মল্লিককে অন্য কোনও দিন আসতে বলা হয়। কারণ সচিবালয়ে সব কম্পিউটার কাজ না করায় তাঁর আবেদনপত্র অনুমোদিত হয়েছে কি না, তা জানানো সম্ভব নয়।

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.