|
|
|
|
নীতীশের রাজ্যে দল অস্ত্র দিচ্ছে মোদীকে |
স্বপন সরকার • পটনা |
নীতীশ কুমারকে আক্রমণের ‘অস্ত্র’ নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতে তৎপর বিহার বিজেপি নেতৃত্ব। জেডিইউ শীর্ষনেতার দুর্গ পটনার জনসভায় দাঁড়িয়ে সে সবেই নীতীশকে মাত করুন মোদী এমনই পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
কেমন সেই অস্ত্রসম্ভার?
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে ২০১০ সালের জুন মাসে বিহারে এসেছিলেন মোদী। সে সময় বিজেপি নেতাদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন তৎকালীন জোটসঙ্গী নীতীশ। কিন্তু আচমকা মোদী-নীতীশের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসায় তা ভেস্তে যায়। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, একে অপরের হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুই নেতা। নীচে লেখা ‘বিহারের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে রয়েছে গুজরাতও।’ ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নীতীশ নৈশভোজ বাতিল করেন।
মোদীকে সে দিনের কথাই মনে করিয়ে দিতে চান রাজ্যস্তরের নেতারা। পটনার সভায় বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বক্তব্যে সে দিনের প্রসঙ্গ রাখার আর্জি জানাবেন তাঁরা। মোদীর জন্য একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। তাতে লেখা—‘আমার রাজ্যে (গুজরাত) গেলে সম্মান জানিয়েছি। যখন আমি এখানে (বিহার) এসেছি, তখন আমাকে খালি পেটে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ মোদীর ভাষণে এ কথা উল্লেখ থাকলে নীতীশের ‘রূঢ়’ ব্যবহার এবং ভিন্রাজ্যের মানুষের প্রতি তাঁর অপমানজনক মনোভাবের দিক ফুটে উঠবে বলে আশা করছেন দলের রাজ্য নেতারা।
জেডিইউ-এর রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহ অবশ্য এ সবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন, “একসঙ্গে থাকাকালীন এ সব কথা ওঁরা বলেনি। এখন জনতার সামনে তা বলে কিছুই লাভ হবে না।”
দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, কোশীর বন্যায় দুর্গত বিহারবাসীর জন্য সাহায্যের হাত এগিয়ে দিয়েছিলেন মোদী। বিহারেও পৌঁছেছিল সেই সামগ্রী। কিন্তু ওই পোস্টার ছাপার পর মোদীর পাঠানো ত্রাণ ফেরত পাঠিয়ে দেন নীতীশ। একদিকে নৈশভোজ বাতিল, অন্যদিকে ত্রাণ ফেরত পাঠানোর ঘটনায় বিব্রত হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সে দিনের ঘটনা মোদীকে মনে করিয়ে দিতে চাইছেন দলের রাজ্য নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, নীতীশের সে সব পদক্ষেপে গুজরাতের মানুষ অপমানিত হয়েছিলেন এটা যেন ভাষণে উল্লেখ করেন মোদী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি যেন বলেন, গুজরাতের বাসিন্দারা বিহারের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তাঁদের অপমান করেন নীতীশ। রাজ্যের নেতাদের আশা, এ সব কথাই তুলে ধরবেন নরেন্দ্র-ভাই।
বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান বলছেন, “মোদী তাঁর ভাষণে যা বলবেন, তাতে অতীতের কিছু ঘটনার কথা থাকতেই পারে।” পটনার মাটিতে নীতীশের বিরুদ্ধে মোদীর এই যুদ্ধ নিয়েই আপাতত মেতে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। নেতাদের বক্তব্য, জনসভার মঞ্চ ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে নীতীশ-বিরোধী বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারবেন মোদী। তাতে আখেরে দলেরই লাভ।
|
পুরনো খবর: মোদীকে আটকে দেখান নীতীশ, চ্যালেঞ্জ রাবড়ীর |
|
|
|
|
|