|
|
|
|
মোদীকে আটকে দেখান নীতীশ, চ্যালেঞ্জ রাবড়ীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ক্ষমতা থাকলে নরেন্দ্র মোদীকে আটকে দেখান নীতীশ কুমারএমনই সুরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন লালুপত্নী রাবড়ীদেবী। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই বাতিল হল লালুর সাংসদপদ।
পটনায় আজ তিনি বলেন, “সমস্তিপুরে আডবাণীর রথ আটকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। এখন নীতীশ কুমার ওই পদে রয়েছেন। ক্ষমতা থাকলে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে আটকে দেখান।” উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে রাম-রথ আটকেছিলেন লালু।
অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য জনসমর্থন বাড়াতে ওই যাত্রায় বের হয়েছিলেন আদবাণী। ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। অযোধ্যায় কর-সেবার জন্য ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সেখানে পৌঁছনোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। শেষে, ২৩ অক্টোবর বিহারের সমস্তিপুরে আদবাণীকে গ্রেফতার করে লালুপ্রসাদের পুলিশ। থেমে যায় তাঁর রাম-রথ। ওই সময় কার্যত সংখ্যালঘুদের কাছে ‘নায়ক’ মর্যাদা পেয়েছিলেন লালু।
আজ রাত পর্যন্ত রাবড়ীর মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি জেডিইউ। লালুর জেল-যাত্রা নিয়েও বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। রাবড়ীর বক্তব্য, “এ সবই বিজেপি এবং নীতীশের ষড়যন্ত্র। লালুপ্রসাদকে ফাঁসানো হয়েছে। মানুষ তার জবাব দেবে। জনতা আমাদের সঙ্গে আছে।”
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত লালুর সাংসদ পদ আজই খারিজ করা হয়েছে। লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল এস বালশেখরের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী ১১ বছরের জন্য লালুপ্রসাদ সাংসদ হতে পারবেন না। ৫ বছরের কারাদণ্ড ও জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আরও ৬ বছর মিলিয়ে ওই সময়সীমা ধার্য হয়েছে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সাংসদ জগদীশ শর্মাও ১০ বছরের জন্য সাংসদ হতে পারবেন না।
আরজেডি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে, এ দাবির পক্ষে রাবড়ী বলেছেন, “আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছি। ভবিষ্যতেও থাকব। এতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি আরও দৃঢ় হবে।” রাবড়ীদেবীর সঙ্গে দেখা করতে যান লোকজনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। রাবড়ীর সুরেই তিনি বলেন, “আমরা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পক্ষে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বিকল্প কেউ নেই।”
|
পুরনো খবর: মোদীর জনসভায় লোক আনা হবে ১১টি ট্রেন, ৬ হাজার বাসে
|
|
|
|
|
|