|
|
|
|
মোদীর জনসভায় লোক আনা হবে ১১টি ট্রেন, ৬ হাজার বাসে
স্বপন সরকার • পটনা |
নরেন্দ্র মোদীর ‘হুঙ্কার র্যালিতে’ ভিড় জমাতে ১১টি ট্রেন, ৬ হাজার বাস ভাড়া নিল বিহার বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তা-ই নয়, সভামঞ্চের পিছনে থাকবে ৩০ ফুটের স্ক্রিন। দল জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে জড়ো হওয়া সমর্থকদের সুবিধার দিকে তাকিয়েই এ সবের ব্যবস্থা।
২৭ অক্টোবর মোদীর ওই সভায় লোক জমাতে চেষ্টায় খামতি রাখছে না বিজেপি নেতারা। রাজ্যজুড়ে মোদীর প্রচারে ‘হুঙ্কার-রথে’ ঘুরছেন তাঁরা। তাঁদের মুখে এক কালের চা-বিক্রেতা মোদীর জীবনের উত্থানের কাহিনি।
কংগ্রেসের ‘গরিব-বন্ধু’ হয়ে ওঠার চেষ্টাকে বানচাল করতে প্রচারের মঞ্চ থেকে মোদী নিজেও যে কথা বারবার বলে চলেছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠেছে‘রাহুল গাঁধী নন, গরিবের জীবন কাটিয়েছেন তিনিই। কেন্দ্রের সরকার গরিবকে একেবারেই বোঝে না।’ শনিবার কানপুরের সভাতে বিজেপি-র শীর্ষনেতারাও জনতাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ছোটবেলায় প্ল্যাটফর্মে নরেন্দ্র মোদীর চা বিক্রির কথা।
সেই প্রেক্ষাপটেই বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সভায় হাজির হওয়ার জন্য বিহারের ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ পৌঁছেছে। ব্যবসা, দোকানপাট বন্ধ রেখে তাঁদের সেখানে যেতে বলা হচ্ছে। বিশেষত, পটনার চা দোকানগুলিতে প্রচার চলছে জোরকদমে। তার দায়িত্ব পেয়েছেন বাঁকিপুরের বিধায়ক নীতীন নবীন। কয়েক দিন আগে নরেন্দ্র মোদীর নামে চায়ের দোকান খোলা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। আম-জনতার মন জিততে প্রচারে এভাবেই নতুন চমক আনতে চাইছে বিজেপি।
জনতার নজর টানতে ছ’টি ‘হুঙ্কার রথ’ রাস্তায় নেমেছে। উত্তর বিহারের ২০টি জেলায় ঘুরছে সেগুলি। দায়িত্বে রয়েছেন অশ্বিনী চৌবে। সভায় মোদীর কথা শুনতে বা তাঁকে দেখতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, সে দিকেও খেয়াল রেখেছে রাজ্য বিজেপি। মঞ্চের আশপাশে থাকছে ১২টি ক্যামেরা। বিশাল স্ক্রিনে মোদীর প্রতিটি মূহূর্তের খুঁটিনাটি ফুটে উঠবে। সভামঞ্চের দূরে বসেও তাঁকে স্পষ্ট দেখতে পাবেন সমর্থকেরা।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, মঞ্চটি তৈরি হচ্ছে স্টিলের কাঠামোয়। পটনায় মহাত্মা গাঁধীর ৮০ ফুট উঁচু মূর্তির কাছেই থাকবে সেটি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নন্দ কিশোর যাদব জানান, মঞ্চটি ১০ ফুট উঁচু, ৮০ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট চওড়া হবে। সভার দু’দিন আগে মোটরসাইকল মিছিল বের হবে পটনায়। মিছিলে থাকবেন ভোজপুরী সিনেমার নায়ক মনোজ তিওয়ারি।
এ সব আড়ম্বরের পিছনের কারণ একটাই। নীতীশ কুমারের ‘রাজত্বে’ বিজেপি-র অস্তিত্ব আরও ভালোভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। দলের এক নেতার কথায়, “সভায় ভিড় দেখে নীতীশ কুমার এবং তাঁর দল বুঝতে পারবেন যে তাঁর চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীরই। এক সময়ের চা-বিক্রেতা মোদী বিহারের ‘দরিদ্র মানুষের বন্ধু’ তা-ও প্রমাণিত হবে।” |
পুরনো খবর: গোবলয়েও মোদী ছুঁলেন না হিন্দুত্ব |
|
|
|
|
|