|
|
|
|
পাকিস্তান বিষয়ে কেন্দ্রকে কঠোর বার্তা দিলেন ওমর
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এক তরফা মার না খেয়ে কেন্দ্রকে প্রয়োজনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বললেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের সফরের ঠিক আগে ওমরের এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা অনেকের।
বেশ কিছু দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার সংঘর্ষবিরতি ভাঙছে পাকিস্তান। গোলা, মর্টার, গুলিবর্ষণে সীমান্তের গ্রাম ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন মানুষ। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক হয় পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার ঠিক আগেই কেরন সেক্টরে থানা ও সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।
মনমোহনের সঙ্গে বৈঠকে নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন শরিফ। স্থির হয়েছিল, উত্তেজনা কমাতে কথা বলবেন দু’দেশের সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস। কিন্তু, সেই আলোচনা এখনও হয়নি। তার পরেও পাক হামলা থামেনি। কেরন সেক্টরে ঢুকে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল জঙ্গিদের একটি বড় দল। বেশ কয়েক দিনের অভিযানে তাদের শেষ করা গিয়েছে বলে দাবি সেনার।
আজ শ্রীনগরে পুলিশের শহিদ স্মরণ দিবসে যোগ দেন আবদুল্লা। তাঁর বক্তব্য, “দু’দেশের সেনার আলোচনা হয়নি। পরিস্থিতিও পাল্টায়নি।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে ভারত সরকারের অন্য পথের কথা ভাবা উচিত। একতরফা মার খাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে চায় না ভারত। তাই এখনও ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযম দেখিয়েছে। কিন্তু, যারা ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামের জীবন ধ্বংস করে দিতে চায় তাদেরও ধ্বংস করতে হবে।
শরিফ তথা পাকিস্তানেরও কড়া সমালোচনা করেছেন ওমর। তাঁর কথায়, “হয় পাক প্রধানমন্ত্রী সংঘর্ষবিরতির ঘটনায় যুক্ত। তা না হলে এই ঘটনা রোখার ক্ষমতা তাঁর নেই।” সম্প্রতি কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে ফের মার্কিন হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ওমর। ওমরের কথায়, “তাসখন্দ চুক্তিতেই কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তা হলে পাক প্রধানমন্ত্রী ফের সে কথা বলেন কী ভাবে?”
অনেকের মতে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত পাক হামলায় এখন জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিতেও চাপে পড়েছেন ওমর। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গ্রামের মানুষের অবস্থা বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে পারে বলেও মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলার কথা বলা ছাড়া কোনও পথও ছিল না তাঁর। আগামিকাল শিন্দের সঙ্গে গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত সীমান্তের গ্রাম পরিদর্শনে যাচ্ছেন ওমর।
আজ নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি জানতে আচমকাই সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহকে ডেকে পাঠান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। কেরন সেক্টরে অভিযানে ১২-১৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিল সেনা। কিন্তু, একটি দেহও উদ্ধার হয়নি। সরকারি সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য সেনাপ্রধানকে ডেকেছিলেন অ্যান্টনি। আগামি সপ্তাহেও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন ও তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে ফের বৈঠক করবেন তিনি। |
পুরনো খবর: গোলাগুলি চলছেই, ভয়ে ঘরছাড়া বহু বাসিন্দা |
|
|
|
|
|