|
|
|
|
বলপাহাড়ি |
বাঁধ নির্মাণে তৎপর হোক ঝাড়খণ্ড, চায় ডিভিসি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
বলপাহাড়িতে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে ঝাড়খণ্ড সরকারকে তৎপর হওয়ার অনুরোধ করল ডিভিসি। আজ রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, মুখ্যসচিব রামসেবক শর্মার সঙ্গে এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ডিভিসি কর্তারা। বলপাহাড়িতে বাঁধ নির্মাণ ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের কাছে তাদের বকেয়া ৬ হাজার কোটি টাকা মেটানোর কথাও জানায় ডিভিসি।
সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন জানান, বলপাহাড়ির বাঁধ তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হবে। একইসঙ্গে ঝাড়খণ্ডও বেশি জল পাবে। তিনি বলেন, “বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করতে উদো্যগ নিতে হবে ঝাড়খণ্ড সরকারকেই। বাঁধ তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করবে ঝাড়খণ্ডই।”
ধানবাদ ও গিরিডির সীমানায় বলপাহাড়ি এলাকায় ৫০ মিটার উঁচু, ৭ কিলোমিটার চওড়া প্রস্তাবিত ওই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বরাকরের ওপরে ওই বাঁধ তৈরি হলে একদিকে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বাঁধের জলাধারের আশপাশে প্রায় এক লক্ষ একর জমিতে সেচের কাজও হবে। উপকৃত হবে ধানবাদ, গিরিডি ও জামতারা।
বলপাহাড়িতে ওই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছিল ২০০৪ সালে। ঝাড়খণ্ডের সম্মতি না-মেলায় সেই প্রকল্প কার্যত হিমঘরে চলে যায়। এ রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, ডিভিসি ঝাড়খণ্ডের জল নেয়। তার সুবিধা পায় পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন পশ্চিমবঙ্গ না ঝাড়খণ্ড- কোন রাজ্যের অধীনে থাকবে সেই নিয়ে দু’ রাজ্যের দড়ি টানাটানিও চলে এক সময়।
রাজ্য জল সম্পদ বিভাগের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে সিংহ বলেন, “৪৪৩ লক্ষ কিউবিক মিটার জল ওই বাঁধে। তাতে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।”
সরকারি সূত্রের খবর, জমি অধিগ্রহণ করতে না-পারায় দু’বছর ধরে বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করতে পারছে না ডিভিসি। বাঁধ নির্মাণের জন্য অন্তত ৪০ হাজার একর জমি প্রয়োজন। যার মধ্যে ৩০ হাজর একর জমি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। ৫ হাজার একর জমি বন দফতরের। |
পুরনো খবর: ভবিষ্যতের বিবাদ রুখতে নতুন বাঁধ
|
|
|
|
|
|