কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের বড় জিরাফপুরের ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি ওই কিশোরীর দিদির শ্বশুর ও বড় ভাসুর। কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জন ছাড়াও তার জামাইবাবুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এক অভিযুক্ত দেওরের খোঁজ চলছে।
গত ২০ অক্টোবর, রবিবার সকালে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ মেলে গ্রামের পিছনে একটি নির্জন পাম্প-ঘরে। শনিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। কিশোরীর কাকা পুলিশের কাছে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তবে এখনও রিপোর্ট না আসায় কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও এটা আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ। মৃতার দিদির কথা, “আমার ছোট দেওর বোনকে ভালবাসত। এক সপ্তাহ আগে দেওর বোনকে ধর্ষণ করে। তারপর ওকে বিয়ে করতে বলায় দেওর রাজি হয়নি। বোন সবাইকে জানিয়ে দেবে বলায় ঘটনা চাপা দিতেই দেওর কয়েকজনকে নিয়ে বোনকে মেরে ঝুলিয়ে দেয়।” দিদির এই মন্তব্যের পরেই কিশোরীর এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ দিন সকালে তারা দেওরকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। ছেলের সঙ্গেই পালানোর চেষ্টা করেন তার বাবা ও বড় ভাই। কিন্তু লোকজন তাড়া করে বাবা ও বড় ভাইকে ধরে ফেলে গাছে বেঁধে মারধর শুরু করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিশোরীর মায়ের বক্তব্য, “বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন যে ছোট মেয়ের এমন সর্বনাশ করবে ভাবতে পারিনি। পরে বড় মেয়ে যখন সব জানাল তখন পুলিশকে সব জানিয়ে অভিযোগ করি।”
|