বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে পানীয় খাওয়ার পরে অসুস্থ বোধ করতে থাকে এক কিশোরী। পরে হাসপাতালে মারা যায় সে। বিষ খাইয়েই মেয়েটিকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বাড়ির লোক। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকালে দেগঙ্গা থানার সামনে বিক্ষোভও দেখায়। পরে পুলিশ ওই পরিবারের চার জনকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের গিলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বীথি কর্মকার (১৫) নামে ওই মেয়েটি পড়ত নবম শ্রেণিতে। তার দেহ ময়না-তদন্ত হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে বীথিকে বসিরহাটের এক মহিলা পাচারের চেষ্টা করেছিল। গ্রাম্য সালিশির পরে মেয়েটিকে ফিরিয়েও আনে সে। বীথির বান্ধবী ওই মহিলার আত্মীয়। বাড়ি গিলাবাড়িয়াতে। সেই মেয়েটি পড়ে দশম শ্রেণিতে। বীথির বাবা তপনবাবু জানান, গত মঙ্গলবার ওই মেয়েটির সঙ্গে তার বাড়িতে যায় বীথি। সেখানেই কোনও পানীয় খাওয়ার সে অসুস্থ বোধ করতে থাকে। বমি শুরু হয়। স্থানীয় বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল থেকে তাকে পাঠানো হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। রবিবার আরজিকর হাসপাতালে মারা যায় সে।
মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গা থানার সামনে। বীথির বান্ধবী ও তার পরিবারের কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তপনবাবুরা। তাঁদের বক্তব্য, এক বার পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল মেয়েকে। বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পরে ফের সেই চেষ্টা হয়। বাধা দেয় মেয়ে। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই কীটনাশক খাইয়ে বীথিকে খুন করা হয়েছে। তার আত্মীয়দের দাবি, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁরা গিয়েছিলেন বীথির বান্ধবীর বাড়িতে। সেখানে জানানো হয়, ওই কিশোরীও পানীয় খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যদিও তাকে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। এতেই সন্দেহ বাড়ে বীথির আত্মীয়-স্বজনের। |