সদিচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকলে আর পাঁচটা বিদ্যালয়ের মতো পরিকাঠামোর সমস্যা যে হয় না, তার প্রমাণ মিলবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ ব্লকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে গেলে। ঝাঁ চকচকে বিশাল তিনতলা ভবন। ভবনে রয়েছে ৩০ হাজার পাঠ্যপুস্তক সমন্বিত লাইব্রেরি, বিশাল অডিটোরিয়াম, মাল্টি জিম, মিড-ডে মিলের রান্নাঘর, ৭০টি কম্পিউটার এবং ৩টি প্রোজেক্টর-সহ ল্যাব, ল্যাবরেটরি, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অটোমোবাইল ল্যাব-সহ বিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি গাড়ি। সেই কারণেই জেলার সমস্ত বিদ্যালয়ে শৌচাগারের ব্যবস্থা, মিড- ডে মিল পরিষেবা এবং পানীয় জলের সরবরাহের ভিত্তিতে জেলায় প্রথম ‘যামিনী রায়’ পুরস্কার পেয়েছে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল। রাজ্য স্তরের ‘যামিনী রায়’ পুরস্কারের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার ওই স্কুলে আসবেন কেন্দ্র ও রাজ্যের শিক্ষা-অধিকর্তা এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধিদল বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রজেক্ট আধিকারিক (ডিপিও) সুজিত মাইতি। |
ওই বিদ্যালয়ে ঝাঁ চকচকে মার্বেল বসানো ১৪০টি শৌচাগার রয়েছে। রয়েছে পানীয় জলের ২৬০টি ট্যাপ। রয়েছে গভীর জলের নলকূপ। এছাড়া জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের এই স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ৬০০০ লিটারের ট্যাঙ্ক। রয়েছে ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচাগার। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখার জন্য শ্রেণিকক্ষেই রয়েছে স্থায়ী ডাস্টবিন। বিদ্যালয়ে রয়েছে এনসিসি, কিশোরবাহিনী। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে এদের যুক্ত করা হয়।
মিড-ডে মিল রান্নাঘরটিতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁওয়া। হলঘরে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। রয়েছে ১০০ জন অনগ্রসর ছাত্রদের আবাসন। এছাড়াও রয়েছে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জেনারেটর এবং ইনভার্টারের ব্যবস্থা।
সরকারি তহবিল ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অর্থে বিদ্যালয়ের এই উন্নয়ন বলে জানান প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি। বুধবার থেকে স্কুলে ১০টি সিসিটিভিও চালু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। |