মুর্শিদাবাদ জেলাশাসকের বাংলো ভাঙচুর ও পুলিশকে আক্রমণের মামলায় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদ জেলা আদালত। তবে মঙ্গলবার শুনানি হল না। তা হবে আগামী শুক্রবার।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে কংগ্রেসের সমাবেশ ছিল। কংগ্রেসের বিধায়কেরা ওই সমাবেশ থেকে তৎকালীন জেলাশাসক রাজীব কুমারের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। জেলাশাসক ওই স্মারকলিপি নিতে না চাওয়ায় তাঁর বাংলো ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে। ওই মামলার এফআইআর-এ অধীরবাবুর নাম রয়েছে এক নম্বরে।
ওই মামলায় আগাম জামিনের জন্য এ দিন আদালতে আবেদন করেন অধীরবাবুর আইনজীবী নীলাব্জ দত্ত। তিনি জানান, রেল প্রতিমন্ত্রীর আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণ করেছেন মুর্শিদাবাদের জেলা ও দায়রা বিচারক (পূজাবকাশকালীন) অসিতকুমার দে। আগামী শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক। অধীর চৌধুরী বলেন, “যে পুলিশ বলছে কামাল শেখ (তৃণমূল কর্মী) খুনে বছর দেড়েক ধরে আমি পলাতক, সেই পুলিশই বলছে মাস আটেক আগে আমি জেলাশাসকের বাংলোয় হামলা করেছি। পলাতকই যদি থাকলাম, তবে প্রকাশ্যে জেলাশাসকের বাংলোয় হামলা করলাম কখন, পুলিশকে আক্রমণই বা করলাম কী ভাবে? আসলে সবটাই রাজনৈতিক কারণে সাজানো, মিথ্যা মামলা।” জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “এ নিয়ে মন্তব্য করব না।”
অধীরবাবু ছাড়াও ওই মামলায় অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন জেল সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার, বহরপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবতর্ীর্, বহরমপুর টাউন কংগ্রেস সভাপতি অতীশ সিংহ, বহরমপুর পুরসভার ৩ কাউন্সিলর, ভাকুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণিকাঞ্চন মণ্ডল প্রমুখ। শিলাদিত্য হালদার ও মণিকাঞ্চন মণ্ডল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকি সাত জনের আগাম জামিনের জন্য তাঁদের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ গত ৩ অক্টোবর মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ২৬ নভেম্বর। পীযূষবাবু জানান, এ দিন ওই শুনানির দিন এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করা হলেও বিচারক ২৬ নভেম্বরই শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
|