রোনাল্ডোর নাকলবল ফ্রি কিক না ইব্রাহিমোভিচের স্করপিয়ন কিক? সিআর সেভেনের র্যাবোনা না ইব্রার ‘জ্লাটান ফ্লিক’? আধুনিক ফুটবলের দুই জাদুকর তাঁরা। মাঝে মাঝেই যেমন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, তেমনই মাঠে সম্মোহনী ফুটবল খেলতেও অভ্যস্ত। দু’জনের পা থেকেই এসেছে অসাধারণ সব গোল। কিন্তু ব্রাজিল বিশ্বকাপে এঁদের একজনকেই দেখা যাবে। রোনাল্ডো না ইব্রাহিমোভিচকে ছিটকে যাবেন শেষ পর্যন্ত? সোমবারের পর ফুটবলবিশ্ব জুড়ে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
সোমবার হওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ‘প্লে-অফ’ ড্রয়ে মুখোমুখি পড়ে গিয়েছে রোনাল্ডোর পর্তুগাল এবং ইব্রাহিমোভিচের সুইডেন। অর্থাৎ ‘ডু অর ডাই’ দু’পর্ব ম্যাচের পরে কোনও এক তারকার জাদু দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে সমর্থকদের কাছে। যে দেশ হারবে, প্রাক বিশ্বকাপেই ছুটি হয়ে যাবে তাদের। |
দুই তারকার মহারণের আগেই তাই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে। প্লে-অফ ড্র ঘোষিত হয়ে যাওয়ার পরেই টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে সমর্থকদের আবেগ। কয়েকজন সুইডেন সমর্থক টুইট করেন- “ইব্রাহিমোভিচ ছাড়া বিশ্বকাপ ভাবাই যায় না।” পাল্টা পর্তুগিজদের টুইট- “আমাদের জিততেই হবে সুইডেনের সঙ্গে। রোনাল্ডোকে দেখব বলে আগাম টিকিট কেটে রেখেছি।”
জার্মানির সঙ্গে শেষ যোগ্যতা অর্জন ম্যাচে খেলতে না পারলেও, প্লে-অফের পর্তুগালের বিরুদ্ধে দু’পর্বের মহাযুদ্ধের আগেই দলে ফিরবেন ইব্রাহিমোভিচ। প্লে অফের ড্রয়ের আগে ইব্রা বলেছিলেন, “আমার মাথাব্যথা নেই কোনও ভাল দেশের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হলে। কারণ দু’পর্বের ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।” প্লে-অফ ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার পরে সুইডেনের কোচ এরিক হ্যামরেন বলেন, “প্লে-অফে কোনও-কিছুই অসম্ভব নয়। পর্তুগাল খুবই ভাল দল। দুটো ম্যাচেই পারফেক্ট ফুটবল খেলতে হবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছতে হলে।” পাশাপাশি দলের ধারাবাহিকতার অভাবের জন্য প্লে-অফের অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য পর্তুগাল কোচ পাওলো বেন্তোর। তিনি বলেন, “গ্রুপে অনেক ম্যাচে খারাপ খেলেছি। তাই আর কোনও অজুহাত না দিয়ে প্লে-অফটা জিততে চাই। ইব্রাহিমোভিচ থাকায় সুইডেন খুব শক্তিশালী।”
এল ক্লাসিকো থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ, বহু মেগা লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ ও রোনাল্ডো। এ বার দেখার ২০১৪ বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যেতে পারেন কোন তারকা। |