এবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহু কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস। রবিবার শিলিগুড়িতে এ কথা জানান জলপাইগুড়ি জেলার কংগ্রেসের সভাপতি মোহন বসু। তাঁর অভিযোগ, “এসজেডিএ জলপাইগুড়ির উন্নয়নে তেমন মনোযোগী নয়। পাশাপাশি, উন্নয়নের বহু কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বুঝলেও সব অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করেনি এসজেডিএ। কয়েকজনে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।” সে জন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দ্রুত শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এসজেডিএ-এর দুর্নীতিতে যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে আগেই সরব হয়েছে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস ও সিপিএম। ঘটনাচক্রে, দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি শঙ্কর মালাকার এখনও এসজেডিএ-এর সদস্য হিসেবে রয়েছেন। দুর্নীতির মামলার তদন্তের সময়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার শঙ্করবাবুকেও ডেকে পান। সেই সময়ে শঙ্করবাবুকেও জেরা করে পুলিশ। তবে দলের জেলা নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কংগ্রেস কিন্তু আন্দোলনে নেমে পড়েছে। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের পক্ষে গোটা শহরে হোর্ডিং টাঙিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে। সিপিএমের পক্ষ থেকেও একই দাবিতে হোর্ডিং টাঙিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। এবার জলপাইগুড়ি শহরেও একই ভাবে এসজেডিএ দুর্নীতির ব্যাপারে হোর্ডিং টাঙিয়ে প্রচারের কথা ঘোষণা করা হল। এসজেডিএ-এঅর বৈদ্যুতিক চুল্লি, মহানন্দা অ্যাকশনের প্ল্যানের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওটায় তা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত হয়। তাতে দেখা যায়, অনেক কাজ না হলেও ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগও ওঠে। এসজেডিএ এর পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে ইঞ্জিনিয়র মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পালকে ধরে। গ্রেফতার হন পৃথক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পাল, অজয় মৈত্র, তাপস বসু, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন ঠিকাদার সুব্রত দত্ত। এসজেডিএ-এর প্রাক্তন কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুমতি চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠিও দেন শিলিগুড়ির সিপি। সেই অনুমতি মেলেনি। ওই মামলায় নানা তথ্য জানতে জেরা করা হয়েছে শিলিগুড়ির প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীলশর্মা, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক সভাপতি চন্দন ভৌমিককে। |