রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভার উপ-নির্বাচনের দুটি ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণা করল সিপিএম ও কংগ্রেস। পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি পুরসভার একটি ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনেরও প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। আগামী ২২ নভেম্বরের ওই উপ নির্বাচনগুলি হবে। এদিন দুপুরে দার্জিলিং জেলা সিপিএমর নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের শিলিগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী উমা গোয়েল ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দীপা বিশ্বাস।” বিকালে দুই পুরসভার কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত দলীয় প্রাথীর্দের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সৌরভ ভট্টাচার্য, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পিউ ভট্টাচার্য। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সুশীল শীল আমাদের প্রার্থী হয়েছে।” অন্যদিকে, সরকারিভাবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও দলীয়স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রাক্তন কাউন্সিলর নান্টু পাল এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থী জয়শ্রী দত্ত।
সিপিএম নেতারা জানান, শহরের ১১ নম্বর ওয়াডের প্রার্থী উমাদেবী ২০০৪ এক দফায় কাউন্সিলর ছিলেন। সেখানে শক্তিগড়ের দীপাদেবী একেবারেই নতুন মুখ। প্রাক্তন মন্ত্রী অশোকবাবু বলেন, “দুটি ওয়ার্ডেই আমরা জিতব বলে আশা করছি। বর্তমানে শহরে পুর পরিষেবা বলে কিছু নেই। আর আর শহরের এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলই দায়ী।” দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার জানান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সৌরভবাবু ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক। তবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পিউ দত্ত রাজনীতিতে প্রথম। তাঁর শাশুড়ি একবার কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর তারা রায় মারা যাওয়ায় ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলেন না। জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ওই ওয়ার্ড আমাদের দখলে রয়েছে। আশা করছি, এবারে আমরাই জিতব।” পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে নির্বাচনের কিছুদিন পরেই দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চৈতালি সেনশর্মা। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করায় কাউন্সিলর পদই হারান ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নান্টু পাল। |