মুম্বই গণধর্ষণ মামলার শিকার তরুণীকে শুনানির সময়ে অশ্লীল ভিডিও দেখানো কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল নানা শিবিরে। ২৩ বছরের ওই চিত্রসাংবাদিক মুম্বইয়ে গণধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময়ে অভিযুক্তরা তাঁকে একটি অশ্লীল ভিডিও দেখতে বাধ্য করে বলে দাবি পুলিশের।
বৃহস্পতিবার কোর্টে তাঁকে সেই ভিডিও ফের দেখানো হয়। অভিযুক্তদের পাশাপাশি ভিডিওটিও চিহ্নিত করেন ওই তরুণী। তার পরে অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার ফের কয়েক ঘণ্টা আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
কোর্টে ধর্ষিতাকে অশ্লীল ভিডিও দেখানোর কথা জানাজানি হতেই বিতর্কের শুরু। ১৬ ডিসেম্বরের নির্ভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামে দেশ। মেয়েদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় চাপের মুখে নয়া আইন আনতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। তার পরেও দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে ধর্ষণের মামলার জেরার সময়ে নির্যাতিতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠছিল। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, নিম্ন আদালতে ধর্ষণের মামলা বিশেষ সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা হোক। বাদী-বিবাদী পক্ষের উকিলের জেরার সময়েও নির্যাতিতার অপমান হয় এমন প্রশ্ন করা উচিত নয়। কিন্তু তবু পরিস্থিতি যে বদলায়নি বৃহস্পতিবারের ঘটনা তারই প্রমাণ।
মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেন, “২০০৩-এ শীর্ষ আদালত তো নির্দেশ দিয়েছিল, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দেওয়া যাবে। তবু এ রকম স্পর্শকাতর মামলায় অভিযুক্তদের সামনে নির্যাতিতাকে ওই ভিডিও ক্লিপটা দেখানো দরকার ছিল না।” একই মন্তব্য মুম্বই হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিজি পাটিলেরও। তবে ওই অশ্লীল ভিডিও দেখানোটা অনুচিত কাজ ছিল বলে মনে করেন না সরকারি আইনজীবী। তাঁর মতে, এটা জেরা করার পদ্ধতিরই অঙ্গ।
|