২০৩২ সালে পৃথিবীর শেষ, দাবি বিজ্ঞানীদের
সংবাদ সংস্থা • কিয়েভ |
১২-র বদলে ৩২! গত বছর এ সময়, জল্পনা তখন তুঙ্গে। নানা দেশে জোর গুঞ্জন, মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার সঠিক হলে ২০১২-র ডিসেম্বরেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। ছবিও তৈরি হয়ে যায় হলিউডে, ‘২০১২’।
কিন্তু বছর পেরোতে না পেরোতেই আশঙ্কার অবসান। সেই পুরনো আতঙ্ক খুঁচিয়ে তুললেন ইউক্রেনের এক গবেষক। তাঁর দাবি, পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে ২০৩২ সালের ২৬ অগস্ট। হাতে আর মাত্র ১৯ বছর। ক্রিমিয়ার একটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সন্ধান পেয়েছে নয়া গ্রহাণুর। সেটি চওড়ায় ১৩০০ ফুট। আড়াই হাজার পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী গ্রহাণুটি তির বেগে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। ফলে ধাক্কা লাগলেই মুহূর্তে শেষ। বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির নাম রেখেছেন ‘২০১৩টিভি১৩৫’। যদিও তাঁরাই বলছেন, এমনটা হওয়ার আশঙ্কা ৬৩০০০ ভাগের ১ ভাগ। অর্থাৎ পৃথিবীর রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯৮৪ শতাংশ। তবু ০.০০১৬ শতাংশ আশঙ্কা তো রয়েইছে!
|
আর পাঁচটা রোবটের মতো হাত-পা-মুখ তার তো আছেই, কলজেও আছে। স্বচ্ছ শরীরের গহ্বরে নজর করলে দেখা যাবে, ধুকপুক করছে হৃৎপিণ্ড, বাতাস ভরে নিচ্ছে ফুসফুস, শিরা-উপশিরায় বইছে রক্ত। সবই অবশ্য কৃত্রিম, রক্তটাও। এই হল ‘বায়োনিক ম্যান’। বায়োলজি+ইলেকট্রনিক = বায়োনিক। আমেরিকার স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের ‘ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে’ বৃহস্পতিবার আত্মপ্রকাশ করেছে এই অ-সাধারণ রোবট। ছ’ফুট লম্বা, ৭৭ কেজি ওজনের যন্ত্রমানবটি বানিয়েছে লন্ডনের ‘শ্যাডো রোবট কোম্পানি’। খরচ পড়েছে ১০ লক্ষ ডলার। ২৮টি কৃত্রিম দেহাংশ দিয়ে গড়া হয়েছে বায়োনিক ম্যানকে। জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ-মনোস্তত্ত্ববিদ বার্টোল্ট মেয়ের-এর কথায়, “মানবদেহে যা যা ‘স্পেয়ার পার্টস’ থাকে, সেগুলো দিয়ে একটা মানুষ বানালে কেমন হবে, সেটা দেখাই ছিল কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য।” বার্টোল্টেরও বাঁ হাতটি কৃত্রিম। জন্ম থেকেই হাতটা ছিল না। তাঁর আদলেই গড়া হয়েছে বায়োনিক ম্যানের মুখ। রবিবার স্মিথসোনিয়ান চ্যানেলে দেখানো হবে যন্ত্রমানবকে নিয়ে তথ্যচিত্র। বার্টোল্ট তার উপস্থাপক। |