সিপিএম নেতা খুনে অভিযুক্ত সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে কাটোয়া শহরের পাঁচঘড়া মোড় থেকে তাদের ধরা হয় বলে পুলিশের দাবি। মঙ্গলবার পুলিশ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালেও কাটোয়া আদালত ২১ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। আইনজীবীরা জানান, তদন্তকারী অফিসার না আসায় ও কেস ডায়েরি আদালতে না থাকায় বিচারক এমন নির্দেশ দেন। |
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দেয়াসিন গ্রামে বাড়ির অদূরে খুন হন সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সদস্য কার্তিক মণ্ডল। ঘটনার পরে রাত পর্যন্ত দেহ আটকে বিক্ষোভ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে সিপিএম নেতাদের হস্তক্ষেপে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। নিহতের ছেলে ডিওয়াইএফের লোকাল সম্পাদক কিংশুক মণ্ডল নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে কাটোয়া থানায় অভিযোগ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, বাবাকে কুপিয়ে খুন করার সময়ে আততায়ীদের দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় তারা। দেয়াসিন গ্রামেরই দশ জনের নামে অভিযোগ করেন কিংশুকবাবু। অভিযোগে তিনি পুরনো রাগেই এই খুন বলে দাবি করেন, ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনও উল্লেখ করেননি। অভিযুক্তেরা অবশ্য এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
পুলিশের দাবি, সোমবার রাতে পাঁচঘড়া মোড় থেকে অভিযুক্তদের মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অশোক মণ্ডল, অরুণ মণ্ডল, জয়দেব মণ্ডল, প্রভাত মণ্ডল, দুর্লভ কর্মকার, সনাতন ঘোষ ও সুব্রত ঘোষ। কাটোয়ার তৃণমূল নেতা কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “সিপিএম আমাদের দশ জন কর্মী-সমর্থককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে। আইনের প্রতি সম্মান রেখে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার পরে সাত জনকে মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া থানায় আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। বাকি তিন জনকেও আত্মসমর্পণ করানো হবে।” আইনজীবীরা জানান, এ দিন আদালতে ধৃতদের সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন কাটোয়া থানার এক এসআই। কিন্তু এসিজেএম তা নামঞ্জুর করেন। |