ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য তরুণ-তরুণীদের মধ্যে প্রচার চালাতে এ বার পুজো মণ্ডপগুলিতে এল নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত কমিশনের সদস্যেরা ছিলেন রাজ্যের নানা মণ্ডপে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, কমিশনের এক কর্তা জানান, এই প্রচার চালিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া পুজো উদ্যোক্তারা ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার পাবেন। |
ভোটারদের সচেতন করতে এ বছর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ির গায়ে স্লোগান লিখে ওড়ানো হয়েছিল। এ বার বেছে নেওয়া হল দুর্গাপুজোকে। রাজ্যের সহকারী মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য বলেন, “কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়েই এই কর্মসূচিতে সাড়া পাওয়া গিয়েছে।” তিনি জানান, সল্টলেকে এফডি ব্লকের এক মণ্ডপে হাতে হাতে ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজোয় ভোটার তালিকা সংশোধন হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা যায়, হাওড়ার ৪০টি, শিলিগুড়ি কমিশনারেটে ২৫টি, বর্ধমানের ৩০টি পুজো-সহ রাজ্যের তিনশোটি পুজো মন্ডপ প্রচারে সামিল ছিল। এই সব মণ্ডপে ‘চলো নাম তুলি, দেশ গড়ি’, ‘আমজনতার শ্রেষ্ঠ অধিকার, সর্বজনীন অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান-লেখা ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল। পুজো উদ্যোক্তারাও নানা ভাবে প্রচার চালান। কাটোয়ার জয়শ্রী সঙ্ঘ, কালনার পারোজ মহিলা সমিতি, হাওড়ার রামকৃষ্ণ অ্যাথেলেটিক ক্লাব রীতিমতো স্টল করে প্রচার করে। সেখানে অনলাইনে ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর থেকে পরিচয়পত্রের নম্বর বের করে দেওয়া হয়। সাড়াও মেলে ভালই। কাটোয়ার ইন্দ্রভানু চট্টোপাধ্যায়, সায়নী মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, “ ভিন্ রাজ্যে পড়াশোনা করি। তালিকার নাম তোলার সময়ে থাকি না। এই উদ্যোগে আমাদের উপকার হল।” |