ইচে বেরিয়ে যেতেই জোড়া গোল হজম মোহনবাগানের
পুণে এফ সি: ২ (হাওকিপ, মেয়ার)
মোহনবাগান: ০
বোধনের দিনেই বিসর্জনের সুর বেজে উঠল মোহনবাগানে।
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় যখন পুজোর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ঢল তখন সবুজ- মেরুন সমর্থকদের মনে শুধুই অন্ধকার! গত তিন মরসুমের মতোই।
জয় দূরে থাক, গতবারের রানার্স পুণে এফ সি-র কাছে জোড়া গোলে হেরে ফিরছে করিম বেঞ্চারিফার টিম। পরপর দু’টো ম্যাচ ড্র করার পর এ বার হার এ বারও কি তা হলে আই লিগ জয় থেকে অনেক দূরেই থেমে যাবে দশ কোটির টিম? টেনে তুলতে যিনি পারেন সেই ওডাফা ওকোলি এখনও অবশ্য মাঠে নামতে পারেননি চোট সারিয়ে। স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে (২০ অক্টোবর) তাঁকে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য নামানো হবে। কিন্তু গোল আটকাবে কে?
এ দিন তো পুণের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে ইচে লালকার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সব ওলট-পালট হয়ে গেল। আট মিনিটের ব্যবধানে দু’গোল হজম করে নিলেন সন্দীপ নন্দী। সব মিলিয়ে ৪১ মিনিট দশ জনে খেললেন এরিকরা। এরিয়াল বল ধরতে গিয়ে ইচের মাথায় পা চালিয়েছিলেন পুণের বিদেশি স্ট্রাইকার ফাবিয়ানি। ইচের মাথায় লাগে বিপক্ষ স্ট্রাইকারের বুটের স্টাড। ইচে পাল্টা তেড়ে যেতেই বিপত্তি। আগে একটি হলুদ কার্ড ছিলই, ফের হলুদ কার্ডের ফলে বাইরে চলে যেতে হয় নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডারকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পুণে স্ট্রাইকার ফাবিয়ানিকে অপরাধ করা সত্ত্বেও ছেড়ে দেন দিল্লির রেফারি উমেশ ভোরা। ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে বাগান শিবিরে। তারা ম্যাচ কমিশনারের কাছে মৌখিক অভিযোগও জানিয়েছে!
ফাবিয়ানিকে এর পরই বদলান পুণে কোচ মাইক স্নেয়ি। নামান হাওকিপকে। গোলের শুরুটা কিন্তু বদলি পুণে স্ট্রাইকারেরই করা। পরের গোলটা কিছুটা হলেও আইবরের দোষে হজম করে বাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের সামান্য পরেই রেফারির পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তে বাগান দশ জন হয়ে যাওয়ায় করিমের টিম মাথাচাড়া দেওয়ার আর সুযোগ পায়নি। শুরু থেকে লড়ার চেষ্টা চালালেও গোলের পর কিংশুক-আইবররা পিছু হটতে থাকেন। তবে বিরতির পরই পুণে গোলকিপারকে ওয়ান টু ওয়ান অবস্থায় একবার পেয়েছিলেন এরিক। সেই সুযোগও নষ্ট করে বল বাইরে মারেন তিনি। যা অপরাধের শামিল। প্রথমার্ধেও এরিক এবং সাবিথ দুটি সুযোগ নষ্ট করেন।
কলকাতা লিগের পরপর দু’টো ম্যাচ বড় ব্যবধানে জেতার পর মনে হয়েছিল, পুণেতে ডেনসন দেবদাসদের খেলায় কিছু পরিবর্তন হবে। কিন্তু তা হল না। উলটে হার হল গঙ্গাপারের ক্লাবের।
দিনের অন্য ম্যাচেও অবশ্য জিততে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়ন চার্চিল ব্রাদার্স। রাংদাজিদের সঙ্গে ১-১ ড্র করল সুখবিন্দার সিংহের দল।

মোহনবাগান: সন্দীপ, ওয়াহিদ (রোউইলসন), কিংশুক, ইচে, আইবর, ডেনসন, কাতসুমি, জাকির, সাবিথ (রাজীব), রাম (নিকোলাস), এরিক।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.