একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগে এমনিতেই জর্জরিত আসারাম বাপু। এ বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল তাঁর ছেলে নারায়ণ সাইয়ের
বিরুদ্ধেও। রবিবার আসারাম ও তাঁর ছেলে নারায়ণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই বোন। তাঁরা সুরাতের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ অনুযায়ী ২০০২ সালে আমদাবাদের আশ্রমে কাজ করার সময়ে আসারাম বড় বোনকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাতে
পারেননি। ২০০৪ সাল নাগাদ সবরকন্ঠর এক আশ্রমে ছোট বোনকে আসারামের ছেলে নারায়ণ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা তখন আশ্রমে পড়াশোনা করতেন বলে জানিয়েছেন। আসারামের স্ত্রী ও মেয়ে এই ঘটনায় আসারামকে সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন ওই দুই বোন। সুরাতের পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানান, শীঘ্রই নারায়ণকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দু’টি ভিন্ন জায়গার ঘটনা হওয়ায় নারায়ণের বিরুদ্ধে সুরাতের জাঙ্গিপাড়া থানায় এবং আসারামের বিরুদ্ধে আমদাবাদে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমনিতেই মধ্যপ্রদেশের আশ্রমে এক নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এখন জেলে আসারাম। সোমবারই তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় শিল্পী-সহ আসারামের বেশ কয়েক জন ঘনিষ্ঠ অনুচরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুরাতের ওই দুই বোনের অভিযোগ, তাঁরাও আসারামের ভক্ত ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়েই আসারাম আর তাঁর ছেলে তাঁদের ধর্ষণ করেন। তবে এত দিন পরে তাঁরা কেন অভিযোগ জানালেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। নীলম দুবে নামে আসারামের এক ভক্তের প্রশ্ন, “আসারাম পরিস্থিতির শিকার। যদি তিনি এমন মানুষই হতেন, তা হলে এত ভক্ত রোজ রোজ তাঁকে দেখতে, তাঁর কথা শুনতে ছুটে আসতেন কি?” সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় ওই নাবালিকার মানসিক অবস্থা ঠিক নয় বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন আসারামের আইনজীবী। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। অন্য দিকে আবার গুজরাতে আসারামের আশ্রম কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০০৮ সালে আমদাবাদের আশ্রমে দুই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাতেও আসারামের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। |