তরুণীকে হোমে ‘আটকে’ রাখার নালিশ পরিজনের |
নাবালিকা বলে এক তরুণীকে রায়গঞ্জের সূর্যোদয় হোমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণীর বাবা ও মা হোমে গিয়ে কমিটির সদস্যদের কাছে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ডের প্রতিলিপি দেখিয়ে লিখিতভাবে দাবি করেন, মেয়ের বয়স ১৯ বছর পার হয়ে গিয়েছে। হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথী দাস জানান, যেহেতু মেয়েটি শিশুকল্যাণ কমিটির হেফাজতে রয়েছে, সেইকারণে তাকে তাঁদের পক্ষে ছাড়া সম্ভব নয়। আর শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন সুনীলকুমার ভৌমিক বলেন, “জন্মের শংসাপত্র বা বিদ্যালয়ের শংসাপত্রে জন্মতারিখ না দেখে আমরা কোনও মেয়েকে হোম থেকে ছাড়তে পারি না। আমাদের হিসাবে মেয়েটির বয়স ১৬ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সঠিক বয়স জানতে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।” গত ২৮ সেপ্টেম্বর নাবালিকা সন্দেহে ওই মেয়েটির বিয়ে আটকে দেন শিশুকল্যাণ কমিটির সদস্যরা। বিয়ের আসর থেকেই পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হোমে নিয়ে যান কমিটির সদস্যরা। মেয়েটির বাবা দেবেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মেয়ের জন্মের শংসাপত্র নেই। টাকার অভাবে স্কুলেও ভর্তি করাতে পারিনি। কমিটির সদস্যদের কাছে ভোটার কার্ড ও রেশনকার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়ে ছাড়ার আর্জি জানিয়েছি।”
|
পণের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে খুনের দায়ে তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিকালে বিচারক বিভুতি খেসং ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |