পোশাকে খুশি দৃষ্টিহীনেরা
দের কারও বাড়ি অসমে, কারও বাড়ি বড়শালবাড়ি। কেউ আবার ডুয়ার্সের বাসিন্দা। কেউ আবার বাড়ির ঠিকানাই জানে না। সকলেই দৃষ্টিহীন। আর্থিক নানা সমস্যা আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জেরে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে কোচবিহারে সরকারি দৃষ্টিহীন আবাসিক বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার আবাসিক ৩৩ জনের মুখে হাসি ফুটল পুজোর নতুন পোশাক প্রাপ্তির জেরে। আনন্দে মাতলেন সকলে। অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের জন্য তৈরি এই বিদ্যালয়ে ৩৩ জন পড়ুয়ায় মধ্যে ৩০ জনের বাড়ি পরিজন রয়েছে। তিন জনের তাও নেই। প্রার্থনা, পড়াশোনা আর রুটিন মাফিক খাওয়া-দাওয়ার জীবনে দুর্গাপুজোর মুখে তাদের নতুন পোশাক কিনে দেওয়া অনেকেরই বাড়ির লোকের পক্ষে সম্ভব নয়।
নতুন জামা নিচ্ছে ছাত্ররা। —নিজস্ব চিত্র।
এ দিন স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সকলের হাতে নতুন পোশাকের প্যাকেটটা তুলে দিতেই ছবিটা পুরো পাল্টে যায়। ওদের কেউ কেউ স্কুল কর্মীদের কাছে জানতে চাইল, নতুন এই পোশাকের রঙটা তাকে কেমন মানাবে। কেউ বা তা হাতে নিয়েই দীর্ঘক্ষণ চুপ করে বসে থাকল। বিদ্যালয় অধ্যক্ষ ফণিভূষণ সেন বলেন, “আমরা তো এমনটাই চেয়েছিলাম। ওদের মুখে হাসি দেখে আমাদের দারুণ লাগছে।” পুজোর জন্য বাহারি পোশাকের পাশাপাশি এ দিন পড়ুয়াদের জন্য দুর্গাপুজোর মুখে নতুন ইউনিফর্ম কেনা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এমনিতে বছরে দুই বার নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়া হয় আবাসিকদের। পুজোর সময় তারই এক সেট পোশাক কেনা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির মনোজিৎ দেবনাথের কথায়, “এবার ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার উৎসাহটাও বেড়ে গেল।” বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই তিন জনের জন্য গান শোনা থেকে পুজোর সময় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার মত পরিকল্পনা রয়েছে। থাকবে খাবারের ব্যবস্থাও।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.