নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এলাকাবাসীর প্রবল প্রতিরোধের সামনে মদের দোকান খুলতে পারলেন না এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির আশিঘর মোড় এলাকায়। এলাকার কাউন্সিলর তৃণমূলের রঞ্জন শীলশর্মার নেতৃত্বে মদের দোকানের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। আগেও দোকানটি খুলতে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন দোকান মালিক নিতাই সাহা। তাই এ দিন দোকানটি খুলতে হাইকোর্টের অনুমতিপত্র নিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন। ভক্তিনগর থানার পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়েই তিনি দোকান খুলতে আসেন। তা সত্বেও এলাকাবাসীর প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত দোকান খুলতে পারেননি তিনি। পুলিশও সংঘর্ষের পথ এড়াতে জোর করে দোকান খুলতে চাননি। অন্যদিকে এদিনই মাটিগাড়া থানার অধীন মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় মাটিগাড়া-১ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস। থানায় একটি স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “মানুষ যখন চাইছে না আমার জোর করতে পারি না। আমরা আবগারি দফতরকে বিষয়টি জানাব। তাঁরা প্রয়োজনে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” কাউন্সিলর রঞ্জনবাবু বলেন, “আমরা ২০০৯ সাল থেকে এলাকায় মদের ঠেক ও দোকানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এলাকার মানুষও এলাকায় মদ খাওয়ার বিরুদ্ধে। তাই আমরা সবাই মিলে যে কোনও রকম মদের ঠেক এলাকায় হতে দেব না বলে ঠিক করেছি। হাইকোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই কোন দোকান খোলার কথা বলা হয়েছে। তবে আমাদের নীতি বদলাবে না। লাগাতার অভিযান চলবে। এদিকে তাঁর কাছে হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও দোকান খুলতে না পারায় ক্ষুব্ধ দোকান মালিক নিতাই সাহা। তিনি বলেন, “ফের হাইকোর্টে যাব। আমার কাছে আইনি বৈধতা থাকা সত্বেও যেভাবে বাধা পেতে হচ্ছে তাতে আমি হতাশ।” পুলিশের ভূমিকাতেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে পুরো ব্যপারটিতে তাঁদের কিছু করার নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, আইনি ছাড়পত্র থাকলেও মানুষের বিক্ষোভ এড়িয়ে দোকান খুলতে গেলে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হতে পারত। তাই তাঁরা ঝুঁকি নিতে চায়নি। অন্যদিকে এদিন মেডিকেল ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মাটিগাড়া-১ অঞ্চলের প্রায় তিনশ তৃণমূল কর্মী সমর্থক। দার্জিলিং জেলা কোর কমিটির সদস্য মদন ভট্টাচার্য বলেন, “এলাকায় অবৈধ মদের ঠেক, জনবহুল এলাকায় শুয়োর ও গরুর খাটাল উচ্ছেদ করা, জুয়ার আসর বন্ধ সহ ৬ দফা দাবিতে আমরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছি। বিষয়টি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। দ্রুত এর নিষ্পত্তি না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” |