|
|
|
|
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যয়, ফের জলমগ্ন বহু গ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফের বিপর্যয়ের ছায়া। কোথাও জল জমছে, তো কোথাও নদীর বাঁধ উপচে ঢুকছে জল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহর-সহ ঘাটাল ব্লকের ছ’টি ও দাসপুর-১ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর-২ ব্লকের মৈতনা পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামও জলের তলায়। পাঁশকুড়ার রাধাবন গ্রামের কাছে ভেঙে যাওয়া ক্ষীরাই নদী বাঁধের মেরামত করা অংশের উপর দিয়ে জল উপচে ফের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে রাধাবন গ্রামে ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় কিছু এলাকা। এরপর অগস্ট মাসে কংসাবতী ব্যারেজের ছাড়া জলে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ফের জল ঢোকে। বাঁধের ওই ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ করছিলেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ফের বাঁধের মেরামত করা অংশের উপর দিয়ে এলাকায় জল ঢুকতে থাকে। চৈতন্যপুর-১ পঞ্চায়েতের রাধাবন, চকরাধাবন ও চৈতন্যপুর-২ পঞ্চায়েতের ভগতপুর, দুমদান ও হাউর পঞ্চায়েতের নোরাই, রামচন্দ্রপুর, গোপীনাথপুর প্রভৃতি গ্রামে জল ঢোকে। পাঁশকুড়ার বিডিও অরুণাভ পাল বলেন, “রাধাবনের কাছে ক্ষীরাই নদীর বাঁধের ওই অংশ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধ রক্ষার জন্য সেচ দফতর কাজ করছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” |
|
ঘাটাল ২ নম্বর চাতালে জল জমছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। অগত্যা হাঁটু
জলেই নেমে পড়েছে কেউ। অনেকে আবার অপেক্ষা করছেন নৌকোর। —নিজস্ব চিত্র। |
বৃষ্টির জল জমে পূর্ব মেদিনীপুরেরই রামনগরের কাঠমুণ্ডি, দক্ষিণ মৈতনা, মান্দারপুর, বকশিসপুর, দক্ষিন তেঁতুলতলা চটা পদ্মপুর প্রভৃতি গ্রাম জলের তলায়। উপপ্রধান তমালতরু দাসমহাপাত্র জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২০০টি বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত ২৫টি পরিবারের লোকজনদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বুধবার বিডিও প্রীতম সাহা মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গত এলাকাগুলি পরিদশর্ন করেন। সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল বলে অভিযোগ উঠছে এলাকায়। তমালবাবুর অভিযোগ, ব্লক ও বিধায়ক কোটা থেকে মাত্র ৪০টি ত্রিপল পাওয়া গিয়েছে। ত্রাণ শিবির দুটি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক অখিল গিরি দুর্গতদের এলাকা পরিদশর্ন করে ত্রাণ শিবিরের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ বরাদ্দ করেছেন বলে তমালবাবু জানান।
এ দিকে, ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের উপরে দু’নম্বর চাতালে (কজওয়ে) জল জমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মহকুমার প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অদীপ রায় বলেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি। এখন ঘাটালের দু’টি সড়ক জলের তলায়। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকল্প হিসাবে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, আগাম ত্রাণ মজুত করছে প্রশাসন |
|
|
|
|
|