সারদা-কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ বিলি দুই মেদিনীপুরে
জ, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সারদা-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের দ্বিতীয় পর্যায়ে চেক বিলি করা হবে। মেদিনীপুর শহরের শহিদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদন ও ঝাড়গ্রামের দেবেন্দ্র মোহন হল থেকে আমানতকারীদের হাতে চেক তুলে দেবেন রাজ্যের জল অনুসন্ধান ও উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। মেদিনীপুরে চেক বিলি শুরু হবে সকাল এগারোটায়। মেদিনীপুরের বিতরণ কেন্দ্র থেকে মেদিনীপুর সদর, খড়্গপুর-১, শালবনি, ঘাটাল, গড়বেতা-১ ও গড়বেতা-৩ ব্লকের আমানতকারীরা ক্ষতিপূরণের চেক পাবেন। ঝাড়গ্রাম, জামবনি, বিনপুর-১, গোপীবল্লভপুর-১ ও গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের আমানতকারীদের ঝাড়গ্রামের বিতরণ কেন্দ্রে সাড়ে ১২টা থেকে চেক দেওয়া হবে। প্রশাসনের উদ্যোগে আমানতকারীদের বিতরণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। থাকবে জলযোগের ব্যবস্থাও। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল, মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে ছ’শো ও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে চারশো আমানতকারীকে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্য থেকে পাঠানো চেকগুলি একসঙ্গে জেলায় এসে পৌঁছানোয় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্লক ভিত্তিক চেক বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ফলে, আজ, কতজন আমানতকারীর হাতে চেক তুলে দেওয়া সম্ভব তা বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি প্রশাসন।
ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন সাংসদ শিশির অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার তমলুক শহরের শালগেছিয়ায় সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডলের উপস্থিতিতে তমলুক মহকুমার ১০৩৯ জন সারদা-র আমানতকারীর হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের চেক নিতে পাঁশকুড়া, ময়না, চণ্ডীপুর, কোলাঘাট, নন্দকুমার, শহিদ মাতিঙ্গিনী ও তমলুক ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা ভিড় করেন। সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার বলেন, “এর আগেও চিট ফান্ডে টাকা রেখে রাজ্যের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। তখন টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়নি। এই প্রথমবার ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি উদ্যোগে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হল।” তিনি আরও বলেন, “কালীপুজোর আগে রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ লোককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় ৪০ হাজার আমানতকারী থাকবেন।” পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল জানান, “আগামী ৭ অক্টোবর সুতাহাটা সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হলদিয়া মহকুমার ৬৬৩ জন আমানতকারীকে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হবে। বাকিদের আগামী ৮ ও ৯ অক্টোবরের মধ্যে শিবির করে চেক দেওয়া হবে।”
তবে এই খুশির আবহেও মিশেছে অন্য সুর। যেমন ক্ষতিপুরণের ৬০০ টাকা পাওয়ার পর ময়নার আনন্দপুর গ্রামের বৃদ্ধা ঊষারানি মাইতি বলেন, “সারদার এজেন্টের কথায় বিশ্বাস করে গয়না বেচে দু’টি পলিসি মিলিয়ে ১০ হাজার ৬০০ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র ৬০০ টাকা ফেরত পেলাম।” তা ছাড়া এখনও সমস্ত আমানতকারীর নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ওঠেনি বলে অভিযোগ। ঘাটালের সুপ্রিয় বেরার আশঙ্কা, “সরকারের কাছে আমাদের আর্জি সব আমানতকারীর টাকা ফেরত দেওয়া হোক। কেননা, যাঁরা টাকা পাবেন না তাঁরা ফের আমাদের নিশানা করতে পারেন।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.