|
|
|
|
দাগিদের নিয়ে চাপের মুখে সব দল, ছাপ ভোট-অঙ্কেও
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রথমে কংগ্রেসের রশিদ মাসুদ। তার পরে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। প্রশ্ন হল, এর পরে কে? আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এর পরে সাংসদ ও বিধায়ক পদ যেতে চলেছে কার?
দাগি সাংসদ-বিধায়কদের সদস্যপদ বাঁচাতে কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স এনেছিল, গত কাল সরকার নিজেই তা খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংক্রান্ত বিলটিও প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই এখন সাংসদ-বিধায়ক দু’বছরের বেশি কারাদণ্ড হলেই তাঁর সদস্যপদ খোয়াবেন।
বিভিন্ন দলের সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে যেমন কংগ্রেসের সুরেশ কলমডী রয়েছেন, তেমন রয়েছেন মোদীর ঘনিষ্ঠ, বিজেপির উত্তরপ্রদেশের নেতা অমিত শাহও। ডিএমকে-র এ রাজার সঙ্গে আছেন করুণানিধির কন্যা কানিমোঝি। কর্নাটকের বিজেপি-র দলছুট নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা থেকে অন্ধ্রের রাজশেখর-পুত্র জগন্মোহন রেড্ডিও এই তালিকার বাইরে নন। মুলায়ম সিংহ যাদবের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলার ফাঁস আলগা হলেও তিনি রেহাই পাননি। জাতীয় দলগুলির চেয়ে আঞ্চলিক দলগুলির সমস্যা কিছুটা বেশি। কারণ, এই সব দলের নেতাদের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণ-ডাকাতির মতো মামলার সংখ্যাও বেশি।
সরকারি হিসেব বলছে, দেশের বর্তমান ৪৭৩৫ জন সাংসদ-বিধায়কের মধ্যে ১৪৪৮ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঝুলছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এঁদের সদস্যপদ খোয়া যাবে। হিসেব মতো, প্রতি ৩০ জন সাংসদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে খুন-জখম ও প্রতি ২৩ জনে এক জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। অপহরণ, ডাকাতি এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাধানো এই তিনটি ক্ষেত্রেই হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রতি ৫৪ জনের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখেই নতুন করে অঙ্ক সাজাচ্ছে কংগ্রেস, বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টিগুলি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে।
অসরকারি সংগঠন এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস)-এর হিসেবে, ২০০৯-এ লোকসভা ভোটে জিতে আসা ৫৪৩ সাংসদের মধ্যে ১৬২ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে ৭৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর। এর মধ্যে ৭২ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কংগ্রেসের ১৪ জন, বিজেপির ১৮ জন, সমাজবাদী পার্টির ৮ জন এবং বসপা-র ৬ জন সাংসদ রয়েছেন। এডিএমকে-র ৪ জন এবং নীতিশ কুমারের জেডি(ইউ)-র ৩ জনও এই তালিকায় আছেন। সিপিএমের ২ সাংসদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বাকি ১৭ জন ছোট দলের সাংসদ।
|
খাঁড়া ঝুলছে |
• সুরেশ কলমডী (কংগ্রেস) |
• অমিত শাহ (বিজেপি) |
• বি এস ইয়েদুরাপ্পা (কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) |
• কে কানিমোঝি এবং এ রাজা (ডিএমকে) |
• জগন্মোহন রেড্ডি (ওয়াইএসআর-কংগ্রেস) |
• সুখবীর সিংহ বাদল (অকালি দল, পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী) |
• অমরিন্দর সিংহ
(পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) |
• মধু কোড়া
(ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) |
|
|
|
|
|
|