|
|
|
|
ভূতের রাজা দিল বার |
আর সেখানে বার ডান্সার হলেন পাওলি। মনোরঞ্জন করছেন কিছু
মাতাল ভূতকে। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
ভূতেদের গান জানা ছিল। ভূতবাংলোর কথাও শোনা গিয়েছে।
কিন্তু ভূতের বার? দেখা তো দূরের কথা, এমন কথা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি কোনও দিন। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর হিন্দি রিমেকে এই রকমই একটা বার-এর দৃশ্য কল্পনা করেছেন পরিচালক সতীশ কৌশিক। আর সেই দৃশ্যে বার ডান্সার হলেন পাওলি!
“ভূতেদেরও তো মজা করতে ইচ্ছে করে। তাই তাদের জন্য রয়েছে একটা বার!” বলেই হেসে ফেলেন পাওলি।
কেমন দেখতে এই ভূত বার? অবশ্যই কঙ্কাল রয়েছে সেখানে।
আর তার সঙ্গে রয়েছে ওয়াল গ্র্যাফিটি। তাতে লেখা ‘ঘোস্টস আর বেটার দ্যান হিউম্যান বিইংস’। এই বার-এ জীবিত ব্যক্তিদের নো এন্ট্রি। দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে মেরিলিন মনরোর ছবি। কিন্তু ছবিতে সেক্সি মনরোর নাকের কাছটা হয়তো শুধুমাত্র একটা কঙ্কাল।
তা কী করে এমন একটি ভূত বার-এর ডান্সার হওয়ার অফারটা পেলেন? উত্তরে পাওলি বললেন, “বলিউডে ‘হেট স্টোরি’ করার পর আমার সঙ্গে সতীশজির কথা হয়েছিল। আমাদের এর আগে একটা রোম্যান্টিক কমেডিতে অভিনয় করার কথাও ছিল। সেটা শুরু হতে দেরি আছে। আমি কলকাতাতে যখন ‘হারকিউলিস’ শু্যট করছি, তখন সতীশজি আমাকে এই প্রস্তাবটা দেন। এর আগে কোনও দিন আমাকে এই রকম একটা আইটেম নাম্বারে কেউ দেখেনি। তা সে টলিউড হোক কী বলিউড। তা ছাড়া সতীশজির কাজ আমার দারুণ লাগে। তাই রাজি হয়ে গেলাম,” বলছেন পাওলি। |
|
‘গ্যাং অব ঘোস্টস’ ছবির আইটেম নাম্বারে
পাওলি |
ভূতেদের মনোরঞ্জনের জন্য আইটেম নাম্বার। তা কি যে সে ধরনের হয় নাকি? প্রবাদপ্রতিম গজল শিল্পী উস্তাদ গুলাম আলির পুত্র আমির গুলাম আলি এই গানটির সুর করেছেন। গানটি গেয়েছেনও তিনি নিজেই। হঠাৎ গজল থেকে আইটেম নাম্বার কেন? “গানটা শুনলে বুঝতে পারবেন যে এই আইটেম নাম্বারটি গজলকে ভেঙেই করা হয়েছে। কথাগুলো এই রকম: ‘শরাব চিজ
হি অ্যায়সি হোতি হ্যায়
যো না চোরি যায়ে
যো মেরে ইয়ার কে য্যায়সা হোতি হ্যায়
যো না চোরি যায়ে’
...গানটার সঙ্গে কিন্তু ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর আইটেম নাম্বারের কোনও মিল নেই। তাই
এটা ভাবা ঠিক নয় যে আমার চরিত্রটির সঙ্গে বাংলা সিনেমাতে মনামী বা
মিস জোজোর করা চরিত্রগুলোর কোনও মিল রয়েছে। ভূত বারের ভাবনাটা সতীশজির নিজস্ব।
গানটি কোরিওগ্রাফ করেছেন হিমাংশু। ও ‘জঞ্জীর’-এর প্রত্যেকটি
গান কোরিওগ্রাফ করেছে। এই গানটারও কোরিওগ্রাফ অসাধারণ,” জানালেন পাওলি।
তিন দিন ধরে গানটির শ্যুটিং করা হয়েছিল। ইউভি লাইটে শ্যুটিং করা হয়। আইটেম নাম্বারে পাওলিকে দেখা যাবে শাড়িতে। অনিরুদ্ধ আর দীপিকা বলে দুই ডিজাইনার বেশ নতুন ভাবে শাড়িটাকে ড্রেপ করেছে এই দৃশ্যের জন্য।
যেহেতু ভূত বার, তাই প্রশ্ন ওঠে বারে ভূতেদের মাতলামির দৃশ্য
আছে নাকি? “হ্যাঁ, তা তো থাকবেই। মানুষই তো মরে গিয়ে ভূত হয়। মাতাল ভূতের কনসেপ্টটা বেশ মজার। অভিনেতা সতীশ কৌশিক, রাজপাল যাদব, যশপাল শর্মা আর বিজয় সবাই তো সিনেমাতে ভূত সেজেছে। এরা ভূত বারে যায় এনজয় করতে। আর সেখানেই আমার গানটা!”
যদিও ‘গ্যাং অব ঘোস্টস’-এ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও রয়েছেন, ভূত বার-এ তাঁর নো এন্ট্রি। কারণ? তিনি তো সিনেমাতে ভূতের চরিত্র করছেন না। দশমীর পর পাওলির সঙ্গে খুব শিগগিরি একটি হিন্দি ছবির জন্য
শ্যুটিং করবেন তিনি। ছবির নাম ‘ইয়ারা সিলি সিলি’। |
|
|
|
|
|